শ্রী সুকুমার সেন
পূর্ব প্রকাশিতর পর
জমনি=যমনীতে অর্থাৎ যমদন্ড প্রাপ্ত
প্রছাতে= পশ্চাতে অর্থাৎ পরে
সসিবেরে=সচিবেরে (?) সুগ্রীবেরে
মুনিসিয়া= মুনি আসিয়া
পরাজয়=পরিচয়
প্রত্থ=প্রত্যয়
রচয়িতা—ডোম আন্তোনিও
অষ্টাদশ শতাব্দীর পূর্বার্ধ : গদ্য
এই পত্রে শ্রীকৃষ্ণদেব ভট্টাচার্য অজয়পত্র মিদং আমীহ স্বকীয় ধর্ম্ম সংস্থাপন করিতে জয়নগর হইতে শ্রীযুক্ত সেওায় জয়সিংহ মহারাজার সেখান হইতে স্বকীয়-ধর্মের পরওানা লইয়া গৌড় মন্ডলে স্বকীয় সংস্থাপন করিতে আশীয়া ছিলাম এবং শ্রীযুক্ত পাতাসাহার হকুমমত তৈলাতী লোক সঙ্গে করিয়া গৌড় মন্ডলে সর্ব্ব সুদ্ধা স্বকীয় সিদ্ধান্তের জয়পত্র লইয়া আশীয়াছিলাম মালিহাটী মোকামে তোমার নিকট স্বকীয় পরকীয় ধর্ম্ম বিচার অনেক মত করিলাম এবং শ্রীমৎ ভাগবৎ এবং পুরাণ এবং শ্রীশ্রী গোস্বামীদিগের ভক্তি সাস্ত্র লইয়া সিদ্ধান্ত মতে স্বকীয় ধর্ম্মের স্থাপন হইল না ইহাতে পরাভূত হইয়া অজয় পত্র লিখিয়া দিলাম এবং সিস্য হইলাম ইতি সন ১১৩৭ সাল নি বাং সন ১১৩৮ সাল মাহ বৈশাখ।
অজয়পত্র=তর্কে পরাজয় স্বীকারের দলিল
স্বকীয়=যে বৈষ্ণবমতে রাধা কৃষ্ণের বিবাহিত পত্নী
তৈলাতী=পরিজন
লেখক—জয়পুরের সভাপন্ডিত শ্রীকৃষ্ণদেব ভট্টাচার্য্য
অষ্টাদশ শতাব্দীর অপরাধ : গদ্য (মুদ্রিত ১৭৯৩)
শ্রীযুত কোম্পানি ইঙ্গরেজ বাহাদুরের অধিকার বাঙ্গলা দেশের বিশিষ্ট মর্যাদা ও নানাবিধ দ্রব্য জন্মান ও প্রস্তুত করণের কারণ যে সকল সামিগ্রী চাহি তাহার উৎপত্য ভূমিহইতেই হয় অতএব বিক্ষাত আছে যে চাসকর্ম্মের আধিক্যে মহাজনি দ্রব্যাদি অনেক জন্মে ও তৎ সহযোগে দেশের সম্পত্য ও বিস্তর হইতে পারে কিন্তু চাসকর্ম্মের আধিক্যানুসারে এদেশে যে সকল লাভ দর্শে তাহা কেবল মহাজনি বিসএ পর্যাবসান নহে এই হেতু জে এদেষে অন্য ২ জাতি অপেক্ষা হিন্দুজাতি বিস্তর লোক আছে তাহার দির্গ্যের ব্যবহার ও আহারের তাৎপর্য্য অর্থাৎ দিনপাতের ভরসা ভূমির উৎপত্য সামিগ্রিতেই বর্ত্তে এবং হিন্দু ছাড়া অপর ক্ষুদ্র লোকেও দেসাচার ও অসঙ্গতি কারণ আপনার দির্গ্যের কালহরণের আসা ভূমির উৎপত্যের উপরেই রাখে এমত দর্শন হইতেছে ইহাতে মধ্যে২ অনাবৃষ্টিতে শুকাকি মরা অতি বৃষ্টীতে জল গন্ত হাজা হইলে ভুষা জিনিস অর্থাৎ খাদ্য সামিগ্রীর উৎপত্যের হানি হইল, নিতান্তই দুর্ভিক্ষ হইয়া যাবদিয় চাসি ও সিল্পকার ও এতাবতা কারিগর লোক জাহারদির্গের শ্রম ও প্রানর্পণে বিসয়ী লোক দির্গ্যের বলও সম্পত্য লাভ হয় তাহারা অন্য ২ লোকাপেক্ষা অতিশয় আপদ্গ্রস্ত হয় এবং সমূহ দুঃখ পায়।
(ক্রমশ)