বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে অশান্তিতে জড়ালেন দলেরই এক নেতা এবং এক কর্মী। দা দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বাড়ির সামনে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গোপালনগর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার পাল্লা এলাকার বাসিন্দা রামপ্রসাদ শিকদার এবং পলাশ ঢালি। তাঁরা দু’জনেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। রামপ্রসাদ বিজেপির বুথ সভাপতি। পলাশ বিজেপির সক্রিয় কর্মী। পলাশের জমি ভাগে নিয়ে চাষ করতেন রামপ্রসাদ। ভাগচাষের জমির টাকা নিয়ে ঝামেলা হয় দু’জনের মধ্যে।
ঝামেলা মেটানোর দাবি নিয়ে শুক্রবার বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বাড়িতে যান রামপ্রসাদ। কিছুক্ষণের মধ্যে বিধায়কের বাড়ি পৌঁছে যান পলাশও। সেখানেই তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। রামপ্রসাদকে দা দিয়ে আঘাত করেন পলাশ।
গুরুতর আহত রামপ্রসাদকে প্রথমে পাল্লা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ‘ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলাম না। পলাশ ঢালি ও রামপ্রসাদ সিকদার আমার বাড়িতে এসেছিলেন। এখানে এসে রামপ্রসাদ শিকদারের উপরে দা নিয়ে আক্রমণ করে পলাশ। তাঁর কঠোর শাস্তি হোক।’
বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘বিজেপি একটি উশৃঙ্খল দল। বিধায়কের বাড়িতেই সালিশি সভায় একজনের উপর আরেকজনের কাটারি নিয়ে আক্রমণ, ভাবাই যায় না। এদের কাছে অনেক অস্ত্র আছে। পুলিশকে বলব সেগুলি উদ্ধার করতে।’