বন্ধুর বাড়িতে জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রিত হিসেবে গিয়ে খুন হয়েছেন তৃণমূল নেতা আবুল কালাম আজাদ। তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তৃণমূলেরই অপর এক নেতা মইনুল শেখ। একটি ঘরে বন্ধ করে আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের লক্ষ্মীপুরে। দুই নেতা জড়িত থাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জমি ও টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আজাদ ও মইনুল দুই বন্ধুর মধ্যে বিবাদ ছিল। মূলত দু’জনেই জমি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ৯ বিঘা জমির মালিকানা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। শেষপর্যন্ত জমি বিবাদের কারণেই খুন হতে হয়েছে আবুল কালাম আজাদকে। নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ ছিল। জমি দখল, জাল সার্টিফিকেট তৈরি, জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে জমির মালিকানা দখল করে নেওয়া প্রভৃতি কুকীর্তির অভিযোগ রয়েছে। এইসব ঘটনায় আজাদের সঙ্গে বন্ধু মইনুল শেখও জড়িত ছিলেন। পুলিশ মইনুল শেখকে আটক করেছে।
Advertisement
ঘটনার প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সী জানিয়েছেন, দল কোনওভাবেই দুই বন্ধুর বিবাদের মধ্যে জড়িত নয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্প্রতি ভাঙড়েও তৃণমূল নেতা রজ্জাক খাঁকে গুলি ও কোপ মারা হয়। এইভাবে দলের কর্মীদের পর পর খুনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন শাসকদল।
Advertisement
Advertisement



