• facebook
  • twitter
Friday, 15 August, 2025

বন দপ্তরের কোয়ার্টারে এক পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু

একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটে। মৃতদের নাম - রবি ওরাওঁ (৩০), বেবি ওরাওঁ (৫২) এবং বিবেক ওরাওঁ (১৩)।

একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটে। মৃতদের নাম – রবি ওরাওঁ (৩০), বেবি ওরাওঁ (৫২) এবং বিবেক ওরাওঁ (১৩)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

মাদারিহাটের সায়লামন্ডল এলাকার বাসিন্দা বিনোদ ওরাওঁ বন দপ্তরে মাহুতের কাজ করতেন। মাদারিহাট রেঞ্জ অফিসের কোয়ার্টারে পরিবারকে নিয়ে থাকতেন। স্ত্রী, মা, দুই ছেলে ও ভাই নিয়ে ছ’জনের সংসার ছিল বিনোদের। সোমবার সকালে রবি ওরাওঁ, বিবেক ওরাওঁ এবং বেবি ওরাওঁয়ের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন নাকি কেউ খুন করেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান বন দপ্তরের আধিকারিক ও মাদারিহাট থানার পুলিশ কর্মীরা।

সোমবার ভোরে বিনোদ বন দপ্তরে কার্যালয়ে ডিউটি করতে চলে যান। স্ত্রীর কাছে খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে চলে আসেন। বিনোদ বাড়ি এসে দেখেন, তাঁর ভাই রবির দেহ ঝুলছে। আর মা বেবি ওরাওঁ এবং ছেলে বিবেক ওরাওঁয়ের দেহ মেঝেতে পড়ে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, রবি আত্মঘাতী হয়েছেন। বাকি দু’জনকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বিবেক মাদারিহাটের একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যমের স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পরিবারের কোনও অশান্তি ছিল না।

বিনোদ ওরাওঁ জানান, তাঁর বাবা ২০১৪ সালে কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন। সেই চাকরি ভাই রবির পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১০ বছর কেটে গেলেও চাকরি পাননি তিনি। এর ফলে হতাশা গ্রাস করে তাঁকে। বিনোদ ভাইকে হাল না ছাড়ার জন্য পরামর্শ দিলেও, তিনি মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন। রাতে তাঁরা একসঙ্গে খেয়েছিলেন। তারপরই রবি ওরাওঁ তাঁর সমস্ত বইপত্র নিয়ে বাড়ির পেছনে আগুনে জ্বালিয়ে দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী কারণে তিনজনের মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।