• facebook
  • twitter
Monday, 28 July, 2025

খড়গপুর-১ ব্লকের তিনটি অঞ্চল শিশু-শ্রমিক মুক্ত হতে চলেছে

খড়গপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নবকুমার দাস বলেন, খেলাড় গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পাশে একটি আবাসিক কেন্দ্র চালানোর জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

খড়গপুর ১ নং ব্লকের খেলাড়, গোপালী এবং ভেটিয়া, এই তিনটি গ্রামপঞ্চায়েত আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শিশু-শ্রমিক মুক্ত হতে চলেছে। মঙ্গলবার খড়গপুর ১ নং ব্লকের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে এক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নবকুমার দাস। টাটা স্টিল ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় অ্যাস্পায়ার নামে একটি সংস্থা শিশু-শ্রমিক মুক্ত করার লক্ষ্যে ২০২১ সাল থেকে কাজ করে চলেছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছা এবং এই ধরনের সংস্থার নিরলস কাজের মধ্য দিয়েই সাফল্যের মুখ দেখতে চলেছে খড়গপুর ১ নং ব্লক।

মূলত পরিবারের অর্থাভাবের দরুন শিশুদের কাজের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এইসব পরিবারগুলিকে বোঝানো, প্রয়োজনে ভয় দেখানোর মত কাজ করে শিশু-শ্রমিকদের সমাজের মূল স্রোতে মূল শিক্ষা ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাটাই বড়সড় চ্যালেঞ্জ। বুথ স্তরে এইসব কাজের জন্য জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য লাগে। পরিবারকে বোঝানোর ক্ষেত্রে তারা একটা বড় ভূমিকা পালন করেন। অ্যাস্পায়ার সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পেন্দু মান্না বলেন, এখনো পর্যন্ত খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকে ১৫৮৪ জন শিশু-শ্রমিককে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

খড়গপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নবকুমার দাস বলেন, খেলাড় গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পাশে একটি আবাসিক কেন্দ্র চালানোর জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে এই আবাসিক কার্যালয়টি কাজ করছে। খেলাড়, গোপালী এবং ভেটিয়া এই তিনটি অঞ্চল আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শিশু-শ্রমিক মুক্ত অঞ্চল হয়ে যাবে। পুষ্পেন্দুবাবু বলেন, খেলাড়ে আবাসিক সেতু কার্যক্রম চলে। এখানে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পুনরায় ভর্তি হওয়ার জন্য ঘষামাজা করার কাজ করা হয়। কাজ বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় পড়াশোনা চালু করার কাজ করতে গিয়ে প্রচুর বাধা আসে। সেই জন্যই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য লাগে। শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য এই আবাসস্থানটি খোলা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ৮৬ জন রয়েছে। ৩৫ জনকে স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ১৪ বছর বয়স অবধি শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসা।

খড়গপুর ১ নং ব্লকের বিডিও সৌমেন দাস বলেন, এটা শিশু শ্রমিকদের কাছে পুনর্জন্ম। শিক্ষার অঙ্গন থেকে যারা হারিয়ে গিয়েছিল তাদের পুনরায় শিক্ষার অঙ্গনে ফিরিয়ে নিয়ে আসা নিঃসন্দেহে তারিফযোগ্য। বিডিও বলেন,
বুথ স্তরে অর্থাৎ পঞ্চায়েত সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে এই কাজ করতে হবে।