• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ দিতে বিশেষ উদ্যোগ

সম্প্রতি বেহালা কলেজ এবং একটি বেসরকারি সংস্থা মউ স্বাক্ষর করল। এই উদ্যোগ নিয়েছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলজি বিভাগের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক।

জাতীয় শিক্ষানীতিতে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের পাশাপাশি তাঁদের কর্মদক্ষ করে তোলার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ডিগ্রিলাভ নয়, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং পেশায় প্রবেশের পথ সুগম করতে দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। এই নির্দেশ মেনে সম্প্রতি বেহালা কলেজ এবং একটি বেসরকারি সংস্থা মউ স্বাক্ষর করল। এই উদ্যোগ নিয়েছেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলজি বিভাগের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক।

২৪ মার্চ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত বেহালা কলেজ এবং একটি বেসরকারি সংস্থা সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই অনুষ্ঠান থেকে কলেজের অধ্যক্ষ ড: শর্মিলা মিত্র বলেন, ‘শিক্ষার অঙ্গন থেকে ছাত্রছাত্রীদের অভীষ্ট পেশার পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করা বেহালা কলেজের অন্যতম মূল লক্ষ্য। এই পথে ওই সংস্থার অ্যাপ্লিকেশনটি সহায়ক হবে এই আশা রাখি। বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার মূল বিষয়গুলির উপর তৈরি ‘ভিডিও লেকচার’ এবং ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের’ সহজ পাঠ ছাত্রছাত্রীদেরকে সঠিক দিক নির্দেশ করবে।’

আইকিউএসি-র কো-অর্ডিনেটর ড: শ্রাবস্তী চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এনইপি-২০২০ পাঠক্রমে ছাত্রছাত্রীদের ‘হাইব্রিড লার্নিং’-এর উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন অ্যাপে ছাত্রছাত্রীরা ‘ভিডিও লেকচার’ সেকশনটির সাহায্যে সুবিধামতো সময় এবং গতিতে নিজেদের তৈরি করতে পারবে। এর ফলে পড়ুয়ারা পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মদক্ষ হয়ে উঠবে, যা তাঁদের আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে এবং চাকরির সুযোগ বৃদ্ধিতে নানাভাবে সাহায্য করবে।’

বেসরকারি সংস্থাটির ডিরেক্টর ড: মন্দিরা সাহা জানিয়েছেন, তাঁদের অ্যাপ সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করেছে। অ্যাপটি প্লেস্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে। অভিজ্ঞ শিক্ষকগণ গণিত, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান-এর মতো বিষয়গুলির মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের বিশেষভাবে গাইড করছেন।

মন্দিরাদেবী বলেন, ‘অ্যাপটিতে একটি ডেডিকেটেড স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগ রয়েছে, যা এইমস কল্যাণীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই মূল্যবান বিভাগ স্ট্রেস এবং উদ্বেগ পরিচালনা করার জন্য নির্দেশিকা এবং সহায়তা প্রদান করে, যা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক, অভিভাবক এবং জীবনের সকল স্তরের ব্যক্তিদেরও উপকৃত করবে। আমরা মহিলাদের স্বাস্থ্যের উপর নজর দিয়েছি, ঋতুস্রাবের সময় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরামর্শ দেবেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য স্বাস্থ্য সচেতনতা প্রচার করা এবং প্রয়োজনীয় জ্ঞানের সাথে মহিলা শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন করা।’