পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৮তম জন্মবার্ষিকী ঘিরে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হল বর্ণময় ‘প্রাচীচেতা মহোৎসব’। ঠাকুরের বাণী, আদর্শ এবং মানবজীবন গঠনের তাঁর উপদেশকে সমাজের মধ্যে আরও সুস্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে আয়োজিত এই মহোৎসব ঘিরে শহরজুড়ে তৈরি হয় আধ্যাত্মিক, শান্তিময় এবং স্নিগ্ধ পরিবেশ।
শনিবার মহোৎসবের প্রাক্কালে আলিপুরদুয়ারের জেলা হাসপাতাল, রেল হাসপাতাল, কুমারগ্রাম ব্লক হাসপাতাল এবং সংশোধনাগারে রোগী ও আবাসিকদের হাতে ফল বিতরণ করা হয়। সংগঠকদের বক্তব্য, মানবসেবার মধ্য দিয়েই ঠাকুরের আদর্শকে অনুসরণ করার বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন তাঁরা।
Advertisement
রবিবারের প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক ও মহোৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ডাঃ বি. পি. দাস, সম্পাদক ডাঃ দেবী প্রসাদ দাস, সভাপতি নিত্যানন্দ নন্দী, শ্যামল বসাক, সৌরভ পালধি, অভিজিৎ চক্রবর্তী, অভিজিৎ কর, স্নেহাশীষ কর-সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব।
Advertisement
মহোৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল বিনামূল্যের স্বাস্থ্য শিবির। কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা সারাদিন ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ দেন। এছাড়া শল্যচিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ সরূপ চক্রবর্তী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডঃ দেবদ্যুতি বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বহু বিশিষ্টজন শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বাস্থ্য-সদাচার, জীবনবৃদ্ধির পথ এবং আধুনিক সমাজ গঠনে তাঁর আদর্শের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সারাদিন জুড়ে চলেছে গান, কীর্তন, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। সকালে কল্যবর্ত এবং দুপুরে ভান্ডারায় প্রসাদ বিতরণে ভক্তদের বিপুল অংশগ্রহণে উৎসব আরও রঙিন হয়ে ওঠে।
আলিপুরদুয়ারের পাশাপাশি কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, আসাম, ত্রিপুরা এবং কলকাতা থেকেও হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে ‘প্রাচীচেতা মহোৎসব’ এ বার পরিণত হয় এক স্মরণীয়, মহিমান্বিত এবং হৃদয়ছোঁয়া ধর্মীয়-আধ্যাত্মিক সমাবেশে।
Advertisement



