বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বিবাদের জেরে ভাইয়ের পেটে চাকু চালালেন তুতো দাদা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মালদহের সামসির। ঘটনাস্থলে সামসি ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছে অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে এখনও আটক বা গ্রেপ্তারির কোনও খবর মেলেনি। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম যুবকের নাম একরামুল হক। তাঁর বয়স ২৬। পেশায় ব্যবসায়ী একরামুল চাঁচল থানার চাঁদুয়া দামাইপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম মাসুম। একরামুলের মামাতো দাদা মাসুমের বয়স ২৮। প্রতিবেশীদের দাবি, তুতো ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে মাসুমের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বছরখানেক আগে একবার একরামুলের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য শ্বশুরবাড়ি ফিরে এসে সমস্যা মিটিয়ে নেন একরামুলের স্ত্রী। যদিও দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক সহজ হয়নি।
শুক্রবার সামসি গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে মাসুম ও একরামুলের দেখা হয়। দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং একটি পর্যায়ে গিয়ে মাসুম চাকু দিয়ে একরামুলকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা একরামুলকে সরিয়ে নিয়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে ওই যুবককে।
একরামুলের আত্মীয় ইকবাল শেখ বলেন, ‘বিয়ের আগে চাঁচল থানার পুরনো খানপুর গ্রামের যুবক মাসুম আলির সঙ্গে একরামুলের স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যদিও সেই সম্পর্ক পরিণতি পায়নি। মাঝে একরামুলের স্ত্রী মাসুমের সঙ্গে পালিয়েও গিয়েছিলেন। তিনি থাকছিলেন মাসুমের সঙ্গেই। সেই সময় একরামুল স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেন। কিন্তু কিছু দিন পর আবার ওই যুবতীকে বিয়ে করেন একরামুল। এই নিয়েই ঝামেলা চলছিল।’