• facebook
  • twitter
Thursday, 14 August, 2025

উত্তরাখণ্ড থেকে দুর্গাপুরের যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

তিনি কীভাবে উত্তরাখণ্ডে পৌঁছলেন তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত রয়েছেন কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

প্রতীকী চিত্র।

কলকাতায় চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু তার ঠিক ৯ দিন পর উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথের পাইনবন থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে মৃতদেহ আনতে বদ্রীনাথে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ওই যুবক আদৌ কলকাতায় ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন কি না তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।

মৃত যুবকের নাম প্রীতম মজুমদার (২৭)। তাঁর বাড়ি দুর্গাপুরের বি-জোনের এডিশন এলাকায়। ২০০৮ সালে প্রীতমের বাবা ও মায়ের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাঁর বাবা বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্মী। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে বর্তমানে গুজরাতে থাকেন। তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পরে প্রীতম দুর্গাপুরের এডিশন এলাকায় দাদুর বাড়িতেই থাকতেন। প্রীতম অর্থনীতি নিয়ে স্থানীয় কলেজ থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় চাকরিও করেছেন তিনি। কিন্তু কোনওটিই স্থায়ী হয়নি। চাকরির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি।

চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রীতম পরিবারের সদস্যদের জানান, কলকাতা থেকে তাঁর কাছে একটি ইন্টারভিউয়ের ডাক এসেছে। তাই গত ৪ তারিখ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তিনি কলকাতায় যাবেন বলে দুর্গাপুর থেকে রওনা দেন। সেই দিন থেকে মোবাইলের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন প্রীতম। শেষবার ১১ মে মামার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপর থেকে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা।

মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ থানার পুলিশ প্রীতমের মামাকে ফোন করে তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানান। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর বিভিন্ন ডকুমেন্টস পাওয়া গিয়েছে। এরপরই মৃতদেহ আনতে বদ্রীনাথে পৌঁছে যান পরিবারের সদস্যরা। প্রীতম কলকাতায় এসেছিলেন কী না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ। তিনি কীভাবে উত্তরাখণ্ডে পৌঁছলেন তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় কেউ জড়িত রয়েছেন কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।