• facebook
  • twitter
Sunday, 7 December, 2025

দামোদরের করুণ পরিস্থিতি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিন বন্ধু

দুর্গাপুরের তিন যুবক বিশ্বব্রত কুমার, বাসুদেব চক্রবর্তী ও দীপক ঘোষ

দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পলি উত্তোলন নিয়ে একাধিক বার সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি দামোদর পরিদর্শন করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার একসময়ে দামোদর অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির কথাও বলেছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। পলি জমে ক্রমশ নাব্যতা হারাচ্ছে দামোদর। তার সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়েছে দূষণ।
দামোদরের এই করুণ পরিস্থিতি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন দুর্গাপুরের তিন যুবক বিশ্বব্রত কুমার, বাসুদেব চক্রবর্তী ও দীপক ঘোষ। দামোদরের উৎসস্থল থেকে দুর্গাপুর ব্যারাজ পর্যন্ত সাইকেলে সফর করলেন তাঁরা। অনেক ছবি তুলেছেন। সেগুলি দেখিয়ে দামোদরকে রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান তাঁরা পৌঁছে দেবেন বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের কাছে।
বিশ্বব্রত ও কয়েক জন সহযোগীর হাত ধরে তৈরি হয়েছে মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার অ্যাসোসিয়েশন অফ দুর্গাপুর (ম্যাড)। এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বহু স্কুল ও কলেজের পড়ুয়া। প্রত্যেক বছর নেচার ক্যাম্পের আয়োজন করে ম্যাড। তেমনই এক নেচার ক্যাম্পে এই অভিযানের অভিজ্ঞতা শোনাবেন তাঁরা।
খামারপাট পাহাড় থেকে বেরিয়ে দামোদর হাজারিবাগ পাহাড় পার হয়ে চিত্তরপুর হয়ে বোকারোর দিকে ঢুকেছে। সেখান থেকে ধানবাদের দক্ষিণ সীমান্ত সিন্দ্রির পাশ দিয়ে বাঁকুড়ায় ঢুকেছে। তার পরে ইন্দাস থানার সোমসার হয়ে বর্ধমানে ঢুকেছে দামোদর। শেষে হাওড়ায় গিয়ে তা মিশেছে হুগলি নদীর সঙ্গে।
বিশ্বব্রত বললেন, ‘দামোদরের দূষণ শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ডের রামগড় জেলার পাত্রাতু ভ্যালির পর থেকে। কয়লা ধোয়া নোংরা জল সরাসরি দামোদরে মিশছে। এর পরে ডিসেরগড় থেকে বর্ধমান পর্যন্ত কারখানার দূষিত জল সেখানে মিশছে। এখনই যদি দামোদর বাঁচানোর পরিকল্পনা না-করা হয়, আগামী দিনে ভয়ঙ্কর জল সঙ্কট দেখা দেবে। তা-ই বলতে চাই।’

Advertisement

Advertisement