জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মধ্যে আসামির রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় জেলের ভিতর থেকে সুরেশ রায় নামক এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সংশোধনাগার সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি খুনের দায় অভিযুক্ত ছিলেন। এমনকি কোর্টের তরফ থেকে তাঁকে ফাঁসির সাজাও শোনানো হয়েছিল।
জলপাইগুড়ি আদালতে খুনের দায়ে অভিযুক্ত শিলিগুড়ির উদয় কলোনির বাসিন্দা সুরেশ রায়কে গত ২৯ মার্চ ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছিল। তারপর থেকেই এই আসামীকে আলাদা করে একটি সেলে রাখা হয়েছিল। এদিন কারারক্ষীরা জেলের মধ্যেই জামা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুরেশের ঝুলন্ত দেহ লক্ষ্য করেন। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে জেলের হাসপাতালেই নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Advertisement
সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে নিশ্চিত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই সংশোধনাগারের অন্যান্য আসামীদের মধ্যে ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগেই এই সংশোধনাগারেই একইভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন আরও এক যুবক। পরপর দুটি ঘটনার মিল খোঁজার চেষ্টা করছেন অনেকেই। কী কারণে সাজা ঘোষণার পর আসামীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন সেই বিষয়টি সংশোধনাগরের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
Advertisement



