কাটোয়ার রাজোয়া গ্রামে পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জামির শেখ সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এর আগে জখম অবস্থায় ধৃত তুফান চৌধুরীকে জেরা করে উঠে আসে জামিরের নাম। এই নিয়ে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের রবিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, বিস্ফোরণ ঘিরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে।
গত শুক্রবার রাতে কাটোয়ার রাজোয়া গ্রামের এক পরিত্যক্ত কাঁচা বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তুফান চৌধুরীকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তুফানের নেতৃত্বেই বোমা তৈরির কাজ চলছিল। ওই রাতে বীরভূম থেকেও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত ছিল। পুলিশের সন্দেহ, স্থানীয় বিবাদের জেরে এই বোমা প্রস্তুতের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
তুফানের বয়ান এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জামির শেখ (মূল অভিযুক্ত ও লিঙ্কম্যান), জুমেইদ শেখ, নজরুল মোল্লা, অনুপ কাইম শেখ ও আবু তাহেরকে। ধৃতদের মধ্যে একজন ওই বিস্ফোরণস্থল বাড়ির মালিকের ছেলে বলেও জানা গিয়েছে।
বিস্ফোরণে ভেঙে পড়া কাঁচা বাড়িটি বর্তমানে পুলিশ ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তার স্বার্থে। জামির শেখের বাড়ি কেতুগ্রামের কাচড়া গ্রামে। তদন্তকারীদের মতে, তিনি একটি লিঙ্কম্যান চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে কাজ করতেন। এখন পুলিশ খতিয়ে দেখছে, আরও কারা এই চক্রে যুক্ত এবং বিস্ফোরণের নেপথ্যে মূল উদ্দেশ্য কী ছিল।