১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা, আর তার মধ্যেই তারস্বরে ডিজে বক্স বাজিয়ে চলছে মেলা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানা এলাকার এই ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলের। এমনকি মেলার মঞ্চে চলছে চটুল গানের সঙ্গে স্বল্পবসনা নারীদের নৃত্য পরিবেশন নিয়েও আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। মঞ্চের সামনে থেকে মদ্যপ অবস্থায় দর্শকদের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে টাকা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের নজরদারির মধ্যেই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার আগে এলাকায় এই অপসংস্কৃতির নজির তৈরি হওয়ায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেতুগ্রামের দধিয়া বৈরাগ্যতলায় গোপাল দাস বাবাজীর মেলার আয়োজন করে স্থানীয় কিছু উদ্যোক্তা। সেখানেই সন্ধ্যা নামলেই অবাধে চলছে স্বল্পবসনা মেয়েদের চটুল নাচ। নাচের তালে উড়ছে দেদার টাকাও৷ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে, কারা, কিভাবে এতো টাকা ওড়াচ্ছে মেলায় এসে। ইতিমধ্যেই এই অসামাজিক মেলার আয়োজন কে কেন্দ্র করে প্রশ্ন তুলছেন শাসক বিরোধী দলের নেতারা।
সূত্রের খবর, কেতুগ্রামের পালিটা অঞ্চল জুড়েই চলে বৈধ, অবৈধ বালির ঘাট। বিজেপির দাবি, শাসক দলের রাজনৈতিক নেতাদের সৌজন্যেই এই ধর্মীয় মেলায় আয়োজন করা হয়। এলাকার যুব সমাজsকে রসাতলে পাঠাচ্ছে এই ধরনের আয়োজন। প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে এই ধরনের মেলার অনুমতি পেয়ে যাচ্ছে পুলিশ কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সাধারণের অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের লোকজন মেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।