• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

জলপাইগুড়িতে হাতির হানায় মৃত্যুতে ২৪ ঘণ্টায় ক্ষতিপূরণ

বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, 'দুই যুবকের অকালমৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। রাজ্য সরকার তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে।'

জলপাইগুড়িতে হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনায় ২৪ ঘণ্টায় ক্ষতিপূরণ পেল মৃতদের পরিবার। বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকিমারিতে বুনো হাতি শুড়ে তুলে আছড়ে মারে দুই যুবককে। মর্মান্তিক ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃতের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের ডিএফও রাজা এম এবং রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। গাজলডোবা পুলিশ ফাঁড়িতে এই অনুষ্ঠান হয়।

বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ‘দুই যুবকের অকালমৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। রাজ্য সরকার তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দুই পরিবারকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।’ হাতির আক্রমণ ঠেকাতে বন দপ্তর বিশেষ পদক্ষেপ করছে বলে জানিয়েছেন ডিএফও। তিনি বলেন, ‘বন দপ্তরের পক্ষ থেকে দুটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার থেকেই এলিফ্যান্ট মনিটরিং ক্যাম্প করা হচ্ছে। হাতি জঙ্গলের এলাকা ছেড়ে বেরোলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে এলাকায় ৩০ থেকে ৪০টি হাতি রয়েছে। বনকর্মীরা সজাগ রয়েছেন।’

Advertisement

গত কয়েকদিন ধরেই হাতির ভয়ে তটস্থ তিস্তা পাড়। একশোটির বেশি হাতি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হানা দিচ্ছে এলাকায়। জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন দুধিয়ার চর, টাকিমারি ও সংলগ্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতিগুলি। বনকর্মীরা চেষ্টা করছেন, হাতির দলকে লোকালয় থেকে বের করে জঙ্গলে ঢুকিয়ে দিতে। কিন্তু সন্ধ্যার পর ফের তিস্তা নদী পার করে ফের এলাকায় ঢুকে পড়ছে হাতিদের বড় দল। বুধবার বন দপ্তরের সঙ্গে হাতি তাড়াতে গিয়েছিলেন এলাকার যুবকরাও। হাতি তাড়িয়ে বৃহস্পতিবার ভোররাতে ফেরার পথে দাঁতালের হামলায় মৃত্যু হয় তুষার দাস ও নারায়ণ দাস নামে দুই যুবকের। তুষার ও নারায়ণ দুজনেই মিলনপল্লী এলাকার বাসিন্দা। এর আগে ১৪ মে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে প্রাণ গিয়েছিল কেরল থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকের।

Advertisement

Advertisement