• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

মধ্যমগ্রামে উদ্ধার মা-মেয়ের দেহ

ট্যাংরাকাণ্ডের পর ফের বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হল মা ও মেয়ের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রাম দোহারিয়ার শৈলেশ নগর দুর্গা মণ্ডপ এলাকায়।

প্রতীকী চিত্র।

ট্যাংরাকাণ্ডের পর ফের বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করা হল মা ও মেয়ের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রাম দোহারিয়ার শৈলেশ নগর দুর্গা মণ্ডপ এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, ৫ বছরের মেয়েকে বিষ খাইয়ে মারার পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন মা মধুমিতা রায় (৩৫)। মৃতা বধূর গা থেকে কেরোসিন তেলের গন্ধও পাওয়া গেছে। স্বামী সুমন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।
একের পর এক হাড়হিম করা ঘটনায় খবরের শিরোনামে মধ্যমগ্রাম। এবার মধ্যমগ্রামের দোহারিয়া এলাকার ভাড়া বাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে মা ও মেয়ের নিথর দেহ।

পুলিশ সূত্র থেকে খবর, পাঁচ বছরের শিশুকন্যা প্রশংসা রায়কে খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে মারার পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন মা মধুমিতা রায়। শুক্রবার বিকেলে ফোনে শেষবার মধুমিতার সঙ্গে কথা হয় স্বামীর। তখনই মধুমিতা মৃত্যুর কথা বলেছিলেন। আগত বিপদের আভাস পেয়ে স্বামী সুমন রায় কাজ থেকে ছুটে এসেছিলেন। প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের সাহায্যে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিছানার ওপরে পাঁচ বছরের কন্যা ও পাশের রান্নাঘর থেকে মধুমিতার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর শুনে ছুটে এসেছিলেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন এবং অন্যান্য আত্মীয় পরিজন। আত্মহত্যার কারণ নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। তবে দুটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয়দের মতে, হাসিখুশি মেয়ে ছিলেন মধুমিতা। ৭ বছরের দাম্পত্য জীবন। বিয়ের দুবছর পর জন্ম হয়েছিল কন্যার। তাঁদের দাম্পত্য জীবনে আপাতদৃষ্টিতে কোনো সমস্যাই কারও নজরে আসেনি। তাই মেয়েকে খুন করে এভাবে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় প্রতিবেশীরা কেবল অবাক নন, কৌতহলীও। পরিবারের অনেকেই খুন করে আত্মহত্যার বিষয়টি মানতে নারাজ। তবে তদন্তকারীরা এখনই মুখ খুলতে চাইছেন না। পুলিশ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

Advertisement

Advertisement