য়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সরগরম বাংলা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্যমগ্রাম চৌমাথা অবরোধ করে সাময়িক ভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কিছু যুবক। যদিও, খাদ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষের তৎপরতায় দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট বিক্ষোভ। অভিযোগ, সংখ্যালঘু যুবকদের প্রতিবাদে সাময়িক ভাবে যানজট সৃষ্টি হয় ১২নং জাতীয় সড়কে। এই খবর পাওয়া মাত্রই মধ্যমগ্রাম পুরসভা থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিধায়ক রথীন। সে সময়ে তাঁর সঙ্গী ছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করেন এবং তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন রথীন। অবশেষে বিধায়কের পরামর্শে বিক্ষোভ-আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন যুবকেরা। কেবল তাই নয়, শ্রদ্ধার সঙ্গে বিধায়কের আদেশ পালন করে জাতীয় সড়কে অবরোধে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সকে এগিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে রথীন ঘোষের মত, ‘হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি হল মধ্যমগ্রাম কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি। তারা যদি বিক্ষোভের পথে পা বাড়িয়েও থাকে, আমরা বোঝানোর পর তারা বিষয়টি বুঝেছে তাই অবরোধ তুলে নিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। তারা আমাদের শ্রদ্ধা করে এবং আমরাও ছোটদের খুব ভালোবাসি।’
Advertisement
রথীনের সংযোন, ‘তাদের সবারই অল্প বয়স, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। নির্দিষ্ট খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং তাদের বোঝাই। মিনিট-পনেরো অবরোধ করলেও শেষে আমাদের কথা শুনে তারা চলে যায়।’ সর্বোপরি এদিন রথীন ঘোষের তৎপরতায় দ্রুত যানজট মুক্ত হয় ১২নং জাতীয় সড়ক। প্রসঙ্গত, এদিন জেলা পুলিশ থেকে ট্র্যাফিক পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তেমন কোনো লাভ হয়নি। ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তারা বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকার বিরোধী স্লোগান তুলতে থাকেন। অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ঢাল হয়ে দাঁড়ান বিধায়ক রথীন, তাঁর পরামর্শই অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বিক্ষোভ থেকে বিরত থাকেন সংখ্যালঘু যুবকেরা।
Advertisement
Advertisement



