• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

কুড়মি অবরোধে ১২টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী-দুর্ভোগ

ট্রেন বাতিল হওয়ার ফলে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে খড়্গপুর-টাটানগর ও খড়্গপুর-আদ্রা শাখা। বাতিল হয়েছে মোট ১২টি ট্রেন।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

জনজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আদিবাসী কুড়মি সমাজ রেল ও পথ অবরোধের ডাক দিয়েছিল। শনিবার থেকে এই দাবিতে লাগাতার অবরোধ হওয়ার কথা ছিল পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় । কলকাতা হাইকোর্ট থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে মানুষকে অসুবিধায় ফেলে অবরোধ চালানো যাবে না। অবরোধ রুখতে পুলিশ ও রেলের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ফলস্বরূপ, কুড়মিদের কর্মসূচির প্রভাব পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের উপর পড়েনি। ঝাড়খণ্ডে যদিও অবরোধের ফলে বাতিল হয় কিছু ট্রেন। এর ফলে যাত্রীরা অসুবিধায় পড়েছেন এবং মহালয়ার দিনেও অব্যহত রয়েছে যাত্রী-দুর্ভোগ।

ট্রেন বাতিল হওয়ার ফলে সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে খড়্গপুর-টাটানগর ও খড়্গপুর-আদ্রা শাখা। বাতিল হয়েছে মোট ১২টি ট্রেন। সেগুলির মধ্যে রয়েছে খড়্গপুর-টাটানগর মেমু (মেইনলাইন ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট) রাউরকেলা-হাওড়া বন্দে ভারত, টাটানগর-পটনা বন্দে ভারত, হাওড়া-টাটানগর, আদ্রা-বারকাকানা মেমু এবং রাঁচী-আসানসোল মেমু ।

Advertisement

খড়গপুরের একজন রেল আধিকারিক বলেছেন, ‘আমাদের ডিভিশনে কুড়মি আন্দোলনের প্রভাব সেভাবে পড়েনি ঠিকই কিন্তু ঝাড়খণ্ড রাজ্যের অন্য ডিভিশনে প্রভাব পড়েছে। অনেক ট্রেন দাঁড়িয়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন যাত্রীরা। আগাম সতর্কতা জারি করে আমরা কিছু ট্রেন বাতিল করেছি।’ রবিবারও খড়্গপুর স্টেশনে অনেক যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেছিলেন ট্রেন আসার অপেক্ষায়। বিকাশ যাদব নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন যে তিনি টাটানগরের বাসিন্দা। তিনি খড়গপুরে এসেছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। টাটানগর মেমু বাতিল করা হয়েছে। এরপর তিনি জানতে পারেন যে ইস্পাতেরও সময় বদলানো হয়েছে। বাড়ি পৌঁছানোর ব্যাপারে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০২২ এবং ২০২৩ সালেও একই দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন কুড়মি সমাজের মানুষেরা। সেই সময় টানা ৫ দিন ধরে অবরোধ চলেছিল। এবার রেল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। এর ফলে এই আন্দোলনের প্রভাব পড়েনি ঝাড়গ্রাম বা পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর। দুই জেলায় যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। যদিও ২০২৩ সালে সরডিহা, খেমাশুলি, মেদিনীপুর, কলাইকুণ্ডাতে থেমে গিয়েছিল বাস এবং ট্রেন চলাচল। বিশেষত খেমাশুলিতে কাছাকাছি জাতীয় সড়ক ও স্টেশন থাকায় এই আন্দোলনের ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল।

Advertisement