তার পরবর্তী ছবির শুটিং করতে গিয়ে পাঞ্জাবে কৃষক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েক ঘন্টা শুটিং বন্ধ রাখতে হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কৃষকরা।
তাদের দাবি ছিল, কৃষক বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে হবে অভিনেত্রীকে। জাহ্নবী কাপুর সম্মত হলে কৃষা শু্যটিংস্থল ছেড়ে চলে যান। ফের ছবির দৃশ্যগ্রহণও শুরু হয়। অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি।
Advertisement
বসিস পাঠানার ডিএসপি সুখমিন্দর সিং চৌহান বুধবার জানান, বিক্ষোভের এই ঘটনাটি ঘটেছে সােমবার। আনন্দ এল রাইয়ের আগামী ছবি গুড লাক জোড়ির শুটিং চলছিল। সে সময় জনা ২০-৩০ কৃষক শুটিং স্পটে জড়াে হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
Advertisement
বিক্ষোভকারীদের এক এবং একমাত্র দাবি ছিল, শুটিং লােকেশনে যে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রয়েছেন তাদের কৃষকদের পক্ষ নিয়ে কৃষি আইনের বিরােধিতা করে জনসমক্ষে বিবৃতি দিতে হবে। ছবির কলাকুশলীরা আশ্বাস হলে বিক্ষোভ উঠে যায়। তবে বিক্ষোভের জেরে দু’তিন ঘণ্টা শুটিং বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
প্রতিশ্রুতি মতাে সােমবার ওই বিক্ষোভের পর কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে ধড়ক-এর অভিনেত্রী একটি ইনস্টাগ্রাম পােস্টও করেন। কৃষকদের দেশের হৃদপিণ্ড বলে উল্লেখ করে জাহ্নবী যা বলেছেন, তার সারমর্ম কৃষকরা আমাদের অন্নদাতা।
দেশবাসীকে খাওয়ানাের ক্ষেত্রে কৃষকদের ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, আশা করি কৃষকরা উপকৃত হন, এমন একটা সিদ্ধান্ত শীঘ্রই নেওয়া হবে।
কৃষিক্ষেত্রে আমূল সংস্কারের কথা বলে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তিনটি নতুন আইন আনে মােদি সরকার। যা নিয়ে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার হাজারে হাজারে কৃষক দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিক্ষোভে ক্রমশ সামিল হচ্ছেন অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরাও। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আট দফা বৈঠকের পরেও কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই আইন বাতিল করা হবে না। কৃষকরাও আইন বাতিলের দাবিতে অনড় রয়েছেন।
এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট কৃষি আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশ জারি করে। একটি কমিটিও গঠন করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই কমিটি নিয়েও কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
Advertisement



