• facebook
  • twitter
Monday, 7 October, 2024

বিক্ষোভে উত্তাল কঙ্গো, নিহত দুই শান্তির রক্ষক ভারতীয় জওয়ান! 

পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শংকর তাঁদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে যাঁরা এই কাজ করেছেন অবিলম্বে তাঁদের কঠিন শাস্তিও দাবি করেছেন তিনি।

India-Pakistan border. (File Photo: IANS)

শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিতেই গিয়েছিলেন কঙ্গোতে। কিন্তু শান্তি বাঁচাতেই প্রাণ হারাতে হল তাদের। রাষ্ট্রপুঞ্জ বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল কঙ্গো।

হিংসাত্মক সেই বিক্ষোভের মাঝে পড়ে প্রাণ হারালেন ভারতের দুই শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য ছিলেন তাঁরা।

নিহত দুজনই ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের জওয়ান। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শংকর তাঁদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে যাঁরা এই কাজ করেছেন অবিলম্বে তাঁদের কঠিন শাস্তিও দাবি করেছেন তিনি।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরেফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোমা শহরের বুটেম্বো এলাকাতে রাষ্ট্রপুঞ্জ বিরোধী বিক্ষোভ চলছিল।

সেখানেই নিরাপত্তার রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন দুই ভারতীয় জওয়ান। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন তাঁরা। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়।

কঙ্গোর পূর্বদিকের গোমা শহরে গত কয়েকদিন ধরেই রাষ্ট্রপুঞ্জ বিরোধী ব্যাপক আন্দোলন চলছে। সেখানেই শান্তির কথা বলতে গিয়েছিল ইউনাইটেড নেশনসের একটি দল।

কঙ্গোয় তাঁদের প্রচারের দ্বিতীয় দিনে আন্দোলনকারীরা এতটাই হিংসাত্মক হয়ে ওঠেন যে সংঘর্ষে প্রাণ হারান মোট ৫ জন। তাঁদের মদ্যে ভারতের ওই দুই জওয়ানও ছিলেন। এছাড়া পঞ্চাশেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

গোমায় রাষ্ট্রপুঞ্জ বিরোধী আন্দোলনের ঝাঁঝ দিন দিন বাড়ছে। গত ২৬ জুলাই তা মারাত্মক আকার নেয়। ইউএন-এর সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।

গত সোমবার থেকেই বিক্ষোভ উত্তাল কঙ্গো। শয়ে শয়ে মানুষ গোমা শহরের রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দপ্তরে হামলা করে, হামলা হয় সেনাঘাঁটিতেও। প্রতিবাদীরা রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দপ্তরে ভাঙচুর চালায়, এমনকী লুটপাট চলে বলেও অভিযোগ।

দাবি করা হচ্ছে, কঙ্গোর কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্পত্তি লুঠতে ব্যাপক অশান্তি চালাচ্ছে। প্রতিবাদীদের অনেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও জানা যাচ্ছে। তারা সংখ্যায় ছিল পাঁচশো জনের বেশি।

অশান্তি সামলাতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে শান্তিরক্ষা বাহিনী। তখনকার মতো বিক্ষোভকারীরা হটে গেলেও পরে ফিরে আসে।

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সদর দপ্তরের সাধারণ কর্মীদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয় হয়। এমন পরিস্থিতিতেই প্রতিবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই বিএসএফ জওয়ানের।