টাকা দিয়ে ত্রিপুরা কেনা সম্ভব, বাংলায় তা হবে না : মমতা

লােকসভা নির্বাচনের শেষ দফার লড়াই পর্ব যত এগিয়ে আসছে ততই ভােটের পারদ চড়ছে। লাস্ট মিনিট সাজেশন মিলিয়ে চলছে প্রচারের দৌড়। সেখানে কোনও পক্ষই অপরকে এক চুল জায়গা ছাড়তেও রাজি নয়।

Written by SNS Kolkata | May 15, 2019 3:36 pm

নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মিমি চক্রবর্তী (Photo: IANS)

লােকসভা নির্বাচনের শেষ দফার লড়াই পর্ব যত এগিয়ে আসছে ততই ভােটের পারদ চড়ছে। লাস্ট মিনিট সাজেশন মিলিয়ে চলছে প্রচারের দৌড়। সেখানে কোনও পক্ষই অপরকে এক চুল জায়গা ছাড়তেও রাজি নয়।

মঙ্গলবার শহরের তিন জায়গায় জনসভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমাে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুরের ১২ ভুতের মাঠ, টালিগঞ্জ ফাড়ি এবং বেহালা চৌরাস্তায় ছিল এই প্রচার কর্মসূচি। প্রার্থী ঘােষণার পর থেকেই যাদবপুর হয়ে উঠছে রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র। এক সময়ে এই কেন্দ্র থেকেই লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছিলেন খােদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই এবার প্রার্থী হিসাবে নাম ঘােষণা করেছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর। যাদবপুর কেন্দ্রের সভামঞ্চ থেকেই রাজ্যে তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সরব হলেন মমতা।

‘নরেন্দ্র মােদিকে দিল্লি থেকে হটাবাে। এটা আমাদের অঙ্গীকার’ বলে জানান তিনি। দুমাস ধরে রাজনৈতিক প্রচার নিয়ে রীতিমতাে তিতিবিরক্ত মমতা। দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচন প্রক্রিয়া যে বিজেপির জয় সুনিশ্চিত করার জন্যই স্থির করা হয়েছে তাই নিয়েও এদিন ফের মােদি-শাহ জুটিকে কটাক্ষ করেন তিনি। নির্বাচনের নাম করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার যাবতীয় ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার সিপি-কে চেঞ্জ করে দিয়েছে। কলকাতায় হাওলার টাকা উড়ছে। দিল্লির নির্দেশে কোটি কোটি টাকা নির্বাচনে ভােট কিনতে ব্যবহার করছে বিরােধী শিবির। এই করে ত্রিপুরা কিনে নিয়েছিল। কিন্তু বাংলা কেনা সস্তা নয়। ত্রিপুরা ছােট জায়গা ছিল, বাংলা বড় জায়গা।’

বিজেপির একজন প্রার্থী পিছু নিরাপত্তায় মােতায়েন করা একাধিক কম্যান্ডাে নিয়েও সবর হন তিনি। বিজেপি করলেই ছটা কম্যান্ডাে। আর সেই অনুযায়ী বাক্স বাক্স টাকার লেনদেন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িতে করে এই টাকা সরানাে হচ্ছে বলে তিনি যাদবপুরের সভা থেকে অভিযােগ তােলেন। নির্বাচন কমিশনের নজরে এই বিষয়গুলি নিয়ে এসেছেন বলে জানান তিনি। তবে প্রশাসনের কেউ যদি এই টাকা নিয়ে থাকেন তাহলে নির্বাচন শেষে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন বলে হুশিয়ারি দেন মমতা।

বিজেপির সঙ্গে সঙ্গে আরএসএস কেও এক হাত নেন তিনি। মােদি সরকার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিয়েছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। বাংলাকে ‘কাঙাল’ বলায় ফের কান ধরে উঠবােস করানাের হুঙ্কার দেন তিনি। বিজেপি-কে ‘অশুভ শক্তি’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পাঁচ বছর ধরে বিজেপি সােশ্যাল সাইটে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বলে সমালােচনায় সােচ্চার হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দিল্লির পার্টি অফিসকে ‘শপিং মল’ বলে বিদ্রুপ করেন। বিজেপির কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি নেতারা দাঙ্গাবাজ, ভয় দেখিয়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করেছে তারা। অভিযুক্তরা ক্লিনচিট পেলেও আগামী দিনে এই ক্লিনচিট আবার রিভিউ হবে বলে যাদবপুরে সভা থেকে আশ্বাস দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।