বহু প্রতীক্ষিত পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণের প্রকল্প ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ রূপায়ণের প্রথম পর্যায়ের কাজের প্রস্তুতি কয়েক মাস পূর্ব থেকে চলছে। আগামী বর্ষার পূর্বে ওই কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রকল্পের কাজ শুরু ও শেষের দাবিতে বুধবার ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি’র পক্ষ থেকে যে যে স্থানে কাজ চলছে, সেই এলাকাগুলি পরিদর্শন ও সেচ দপ্তরের এসডিও’র নিকট ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও দেবাশীষ মাইতি, সভাপতি ডা. বিকাশ হাজরা, কার্যকরী সভাপতি সত্যসাধন চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি বিকাশ ধাড়া, অফিস সম্পাদক কানাই লাল পাখিরা প্রমূখ।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, বর্তমানে রূপনারায়ণ ও শীলাবতী নদীবাঁধের কৈজুরী, কুমারচক, জোতকানুরামগড়, রানিচক, কাটান-গোবিন্দপুরে প্রভৃতি স্থানে নূতন স্লুইশগেট নির্মাণ চলছে। বাস্তবে ওই নির্মাণ কার্য ছাড়া কোথাও এখনো মাস্টার প্ল্যানের কোনও কাজ শুরু হয়নি। বর্ষা আসতে আর মাত্র এক মাস কয়েকদিন বাকি। অথচ যেটা প্রথম পর্যায়ে দরকার ছিল, শীলাবতী নদীর নিম্নাংশ পুনঃখনন। যা আজও শুরু করা তো দূরের কথা, এখনো টেন্ডারের কাজও সম্পন্ন হয়নি।
অন্যদিকে অন্যান্য কাজের প্রস্তুতি চললেও যে গতিতে ওই কাজগুলি করলে বর্ষার পূর্বে বানভাসি ভুক্তভোগী মানুষজনেরা ফি বছরের ভয়াবহ বন্যার হাত থেকে খানিকটা রেহাই পেতেন, সেক্ষেত্রেও কাজের গতি খুবই শ্লথ। ফলস্বরূপ অতি দ্রুত শিলাবতী নদীর নিম্নাংশ সংস্কার করে পুনঃখনন সহ প্রথম পর্যায়ে যে কাজগুলি হওয়ার কথা, সেই কাজের গতি বাড়িয়ে দ্রুততার সাথে প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু ও শেষ করার দাবিতে এই ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। পাশাপাশি ঘাটালের মহকুমা শাসককেও ওই দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্মারকলিপিতে সমগ্র কাজগুলি সুষ্ঠুভাবে রূপায়ণের স্বার্থে কমিটির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মনিটরিং কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।