• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বড়দিনের আগেই নিউটাউনের হরিণালয়ে আসছে দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার

নিউটাউন তথা কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর। বড়দিনের আগেই নিউটাউনের হরিণালয় মিনি চিড়িয়াখানার আসতে চলেছে দুটি বেঙ্গল টাইগার।

ফাইল ছবি

নিউটাউন তথা কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর। বড়দিনের আগেই নিউটাউনের হরিণালয় মিনি চিড়িয়াখানার আসতে চলেছে দুটি বেঙ্গল টাইগার। শিলিগুড়ি থেকে তাঁদের এখানে নিয়ে আসা হবে। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিনি চিরিয়াখানায় এসে যাবে দুই নতুন অতিথি। পরিবেশ ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রথমে তাদের নিভৃতবাসে রাখা হবে। তারপর তাদের এনক্লোজারে নিয়ে যাওয়া হবে। জানা গিয়েছে, ক্রিসমাসের দিন এই এনক্লোজারের উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই চিড়িয়াখানার জমির মালিক হিডকোর এক সরকারি কর্তা জানান, বাঘ দু’টির আস্তানা ও স্বাধীনভাবে বিচরণের জন্য এনক্লোজার তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে এই বাঘ দুটিকে নিয়ে আসা হচ্ছে। পার্কের অফিসার-ইন-চার্জ ই বিজয় কুমার জানান, ইতিমধ্যেই এক জোড়া বাঘকে কলকাতায় পাঠানোর জন্য বেছে রাখা হয়েছে। বাঘ দুটির বয়স ১৫ মাস। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। তাই সেখান থেকে দুটি বাঘকে আনার ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। নতুন দুই অতিথিকে নিয়ে আসার জন্য বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাঘের আচরণ সামলানোর জন্য এই গাড়িতে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা থাকবে। পর্যাপ্ত জল, খাবার সহ স্বাভাবিক নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বাতাস চলাচলের সুব্যবস্থা রাখা হবে।

Advertisement

মিনি চিড়িয়াখানায় বাঘ দুটির থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট জায়গাটির ৭০ শতাংশ অংশ খোলা রাখা হচ্ছে। যাতে তারা বিনা বাধায় ঘোরাফেরা করতে পারে। দর্শকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একটি মোটা কাচের দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। দেওয়ালটি কাচের হওয়ায় বাচ্চারাও বাঘমামাকে সহজেই দেখতে পারবে। খাঁচার কাছাকাছি যাতে কোনও পর্যটক যেতে না পারেন তার জন্য দেওয়াল থেকে দেড় ফুটের ব্যবধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি যাতে খাঁচার উচ্চতাও বেশি থাকে তার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি জায়গায় বাঘদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একটি বিশাল ইলেকট্রোম্যাগনেট ব্যবহার করে ঘাসের জমিতে পড়ে থাকা পেরেক ও লোহার টুকরো পরিষ্কার করে ফেলা হচ্ছে, যাতে বাঘের নরম পায়ে আঘাত না লাগে।

Advertisement

Advertisement