সেপ্টেম্বরেও হবে লকডাউন, আপাতত তিন দিনের ঘোষণা মমতার

আগস্টের মতো সেপ্টেম্বরেও হবে লকডাউন। বুধবার নবান্ন থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Written by SNS Kolkata | August 27, 2020 9:38 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

আগস্টের মতো সেপ্টেম্বরেও হবে লকডাউন । বুধবার নবান্ন থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে আপাতত সেপ্টেম্বরের ৭, ১১ এবং ১২ তারিখ সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সেপ্টেম্বর মাসে পরবর্তী দিনগুলির সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে সেপ্টেম্বরের লকডাউনে কিছু কিছু ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।

আনলক থ্রি পর্যন্ত রাজ্যের দাবি মেনে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, আমেদাবাদ, পুণে এবং নাগপুর– এই ছয় জায়গার বিমান কলকাতা থেকে ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা বজায় ছিল। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সপ্তাহে তিনদিন করে এই উড়ানে ছাড়পত্র মিলল। সেইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে মেট্রো চালা রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইভাবে কম সংখ্যাতে লোকাল ট্রেনও চলাচলেও সায় দিয়েছেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকারই।

তবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগস্টের মতো সেপ্টেম্বরেও সপ্তাহে দু’দিন করে লকডাউনের পথেই হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী প্রথমে ৪ এবং ৫ সেপ্টেম্বর লকডাউন করার কথা ভাবা হয়েছিল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার যদি জয়েন্ট এবং নিট পরীক্ষা না পেছোয় তখন লকডাউনের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা বিপদে পড়বে। সেই কারণে সেপ্টেম্বরের প্রথম শুক্রবার ও শনিবার লকডাউন না করে পরের সপ্তাহের সোমবার সেপ্টেম্বরের প্রথম লকডাউনের দিন ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ১৩ সেপ্টেম্বর নিট পরীক্ষা রয়েছে। তার আগে পরপর দুদিন (১১ এবং ১২ সেপ্টেম্বর) লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দীঘাতে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের জন্য জিও কোম্পানিকে রাত দেওয়া হবে। এই স্টেশন তৈরি হলে দেশ বিদেশের আইটি কোম্পানিগুলি দীঘায় তাদের ডেটা সেন্টার তৈরি করতে পারবে। সিঙ্গাপুর, ইতালি ইত্যাদি দেশের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ করা যাবে। দেশের মধ্যে এখন মুম্বই আর চেন্নাইতেই শুধু এই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপিত হলে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি তো বটেই সীমান্ত লাগোয়া আন্তর্জাতিক দেশগুলির সঙ্গেও ইন্টারনেট সংযোগ সহজতর হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এর ফলে রাজ্য আন্তর্জাতিক হাবে পরিণত হবে। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জানান, পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর গড়বে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, কোনও সংস্থা যদি এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়, তাহলে টেন্ডারের মাধ্যমে যুক্ত হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অনেকবার আবেদন করেও কোনও ফল হয়নি। তাই এবার রাজ্য সরকার নিজেই উদ্যোগ নিতে চলেছে।