৩৪ বছর সরকার ছিল, কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে ডাকতে হয়েছে না কি?: বিমান

২২ সেপ্টেম্বরভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ৩৭ তম তিন দিনের রাজ্য সম্মেলন শুরু হল নদিয়ায় নবদ্বীপে।কেন্দ্রীয় দাবি রাখা হয়েছে চাই ক্লাসঘর, চাই শিক্ষার অধিকার।

Written by রথীন পালচৌধুরী Kolkata | September 23, 2021 3:08 pm

Kolkata: Left Front chairman Biman Basu addresses a press conference in Kolkata on May 10, 2018. (Photo: IANS)

বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ৩৭ তম তিন দিনের রাজ্য সম্মেলন শুরু হল নদিয়ায় নবদ্বীপে। কেন্দ্রীয় দাবি রাখা হয়েছে– চাই ক্লাসঘর, চাই শিক্ষার অধিকার সবার দেশ মিলে মিশে বাঁচবার।

আজ নবদ্বীপ রাধাবাজার পার্কে প্রশ্য সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিপিএসএফ (বর্তমানে এসএফআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বিমান বসু। বক্তব্য রাখেন সুজন চক্রবর্ত, ময়ূখ বিশ্বাস, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীক উর রহমান প্রমুখ।

এদিন ছাত্রযুবদের উদ্দেশ্যে বিমান বসু ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের তিনশােটিরও বেশি কৃষক সংগঠনের উদ্যোগ ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থনের আহ্বান রাখেন অন্নদাতাদের নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সামিল হয়েছে ছাত্র যুব, শ্রমিক, কর্মচারী, মহিলা সংগঠন।

এদিকে বক্তব্যের মধ্যে বাবুল সুপ্রীয়দের দলবদলকে কটাক্ষ করে উপস্থিত ছাত্র ও জনতার উদ্দেশ্যে বিমান বসু প্রশ্ন ছুড়ে দেন—এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কি দক্ষিণপন্থী দল।

বিমানবাবুর কথায়, “অনেকে বলে তৃণমূল তেমন দক্ষিণপন্থী দল নয়। কিন্তু রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সূত্র অনুযায়ী তৃণমূল দক্ষিণপন্থী দল। বিজেপি চরম দক্ষিণপন্থী। এইটুকু ওদের মধ্যে ফারাক আছে। তৃণমূলও বিজেপিকে একসারিতে রেখে বলেন,‘দক্ষিণপন্থী দলে এ ঘর থেকে। ঘরে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। ওদের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কিছু থাকে না।

এদিন ইডি, সিবিআই-এর মতাে সংস্থার নাম না করে বিমান বসু সাফ বলেন, যারা নীতি আদর্শ মেনে চলে না তারা চুরি ডাকাতি করতে পারে। ৩৪ বছর রাজ্যে সরকার ছিল। কই ৩৪ বছরে কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে কাউকে ডাকতে হয়েছে না কি?

আর এগারাে বছরে যে সরকার তাদের এই সংস্থা ওই সংস্থা ডাকছে। ২৭ সেপ্টেম্বর হরতাল প্রসঙ্গে আবার বলেন, দক্ষিণপন্থী দলের হামলার সঙ্গে তৃণমূলের সহযােগিতার বিরুদ্ধে বামপন্থী ছাত্র ছাড়া কেউ আসতে পারে না।’

তিনি সাম্রাজ্যবাদ বিরােধী ছাত্র আন্দোলনের প্রসঙ্গকে এদিন বক্তব্যে তুলে ধরেন। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার প্রসঙ্গ উঠে আসে। সাম্রাজ্যবাদী বক্তি দেশে দেশে গণতন্ত্র হত্যার পথ দেখায়। আফগানিস্তানের নাজিবুল্লাকে হত্যা করেছে আমেরিকা।

ভারতে চল্লিশটি টেররিস্ট গ্রপ কাজ করছে। তাদের পৃষ্ঠপােষক আমেরিকা বলে উল্লেখ করেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন আমেরিকায় জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে।

কী আলােচনা হবে মানুষ জানতে পারবে না। যে আরএসএসের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার চলছে, সেই আরএসএসের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ ছিল। যারা গদ্দারি করেছে তারাই দেশ পরিচালনা করছে। এরা দেশের সম্পদ তৈরি করেনি। অথচ সম্পদ বেচে দিচ্ছে।