• facebook
  • twitter
Saturday, 22 March, 2025

তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে ডাক পেলেন না সুখেন্দুশেখর

এমনকি কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবিও তুলেছিলেন। বিবেকের তাড়নাতে এমন অবস্থান নিতে হয়েছে বলে সাংসদ জানিয়েছিলেন সেই সময়।

ফাইল চিত্র

আজ তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে গিয়েছে দলের অন্যান্য সদস্যদের কাছে। কিন্তু এই বৈঠকে ডাক পেলেন না তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কিন্তু কেন? বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্বাভাবিকভাবেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। আরজি কর ইস্যুতে বরাবরই দলের বিপরীত মেরুতে অবস্থান ছিল তাঁর, সেই জেরেই কি দলের এই সিদ্ধান্ত? এ নিয়ে যদিও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি সুখেন্দুশেখর। সূত্রের খবর, সোমবার কালীঘাটে তৃণমূলের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম থেকে দলের বিধায়ক এবং সাংসদরাও। সাংগঠনিক রদবদল থেকে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে আলোচ্য বিষয় সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ আলোচিত হতে পারে এই বৈঠকে। সুতরাং এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে ডাক না পাওয়ায় সুখেন্দুশেখরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

এক্ষেত্রে মেয়রের একটি বক্তব্য অবশ্যই উল্লেখযোগ্য। ফিরহাদ হাকিমের ভাষায়, ‘দলের শৃঙ্খলা সবার আগে। আমি যা ইচ্ছে বলব, তা হয় না। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আরজি করের কোনও সম্পর্ক ছিল না। আমরাও চাই ফাঁসি হোক, জুনিয়র ডাক্তাররাও একই ইস্যুতে আন্দোলন করেছেন। তাই যিনি ওটাকে সমর্থন করেন, তাঁর সঙ্গে থাকবে না দল।’ তৃণমূল সূত্রে খবর, আরজি কর কাণ্ডে সুখেন্দুশেখরের যে আচরণ ছিল এবং তাঁর যে অবস্থান ছিল, তা নিয়ে সাংসদের উপর ক্ষুব্ধ দল। গোটা কলকাতা যখন উত্তাল, সেই সময় আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন সুখেন্দুশেখরও।

এমনকি কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবিও তুলেছিলেন। বিবেকের তাড়নাতে এমন অবস্থান নিতে হয়েছে বলে সাংসদ জানিয়েছিলেন সেই সময়। সেই থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে শুরু করে বলেই সূত্রের খবর। তাই প্রশ্ন উঠছে, উপনির্বাচনে ছয়টি আসনে জয়ের পর দলের পরিপন্থী অবস্থানে থাকা নেতাদের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়াচ্ছে দল? এই প্রসঙ্গেই সৃষ্টি হয়েছে ঘোর জল্পনা। এখানেই শেষ নয়, সূত্রের খবর, কর্মসমিতির সদস্য না হয়েও বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছেন বীরভূমের দলীয় নেতা অনুব্রত মণ্ডলও। তবে বাদের খাতায় সুখেন্দুশেখর।