• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

তিন দফায় নথি যাঁচাই এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের

এই শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’— দু’টিই নতুন সংযোজিত বিষয়। এই দু’টি বিষয় মিলিয়ে সর্বোচ্চ মোট ২০ নম্বর রাখা হয়েছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

চাকরিপ্রার্থীদের শংসাপত্র ও নথি পরীক্ষায় বাড়তি সতর্ক স্কুল সার্ভিস কমিশন। নতুন চাকরি প্রার্থীদের ভুয়ো নথি চিহ্নিত করতে তিন দফায় যাঁচাই করবে এসএসসি। সূত্রের খবর, এই তিন পর্যায়ের মধ্যে অনলাইনে যখন আবেদন আসবে সেই সময় প্রথম পর্যায়ের নথি পরীক্ষার কাজ হবে। ইন্টারভিউ হওয়ার সময় হবে দ্বিতীয় বার। কাউন্সেলিং-এর সময় তৃতীয় পর্যায়ের ‘ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন’ করবেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এসএসসি আধিকারিকদের ডকুমেন্টস সংক্রান্ত কোন‌ও তথ্য নজর এড়িয়ে গেল কি না, তা জানাও এই তিন পর্যায়ের নজরদারির অন্যতম অংশ হতে চলেছে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে ভুয়ো ‘কাস্ট সার্টিফিকেট’ বা জাতিগত শংসাপত্র নিয়েও।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মধ‍্যরাতে গেজ়েট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আগে নতুন বিধি প্রকাশিত হয়েছে। সেই নতুন বিধি অনুসারে জোর দেওয়া হয়েছে, চাকরি প্রার্থীদের শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা ও ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপরে। এই বিধি অনুসরণ করে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৬০ নম্বরের। আগে এটি ছিল ৫৫ নম্বরের। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে আগে ছিল ৩৫ নম্বর। এখন থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রেও নম্বর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আগেও এর সর্বোচ্চ নম্বর ১০ ছিল, এখনও সেটাই রাখা হয়েছে। আবার শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপরে এবার বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর থাকবে। পাশাপাশি, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার আরও একটি অঙ্গ ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’-এর জন্য সর্বোচ্চ ১০ নম্বর রাখা হচ্ছে। কার্যত এই শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ও ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’— দু’টিই নতুন সংযোজিত বিষয়। এই দু’টি বিষয় মিলিয়ে সর্বোচ্চ মোট ২০ নম্বর রাখা হয়েছে।

Advertisement

এছাড়া ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে যেসব চাকরিপ্রার্থীরা বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর, তাঁরা নিয়োগের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে তফসিলি জাতি, জনজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন। নতুন বিধি অনুসারে, মেধাতালিকা এবং অপেক্ষমাণ মেধাতালিকার মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে এক বছর পর্যন্ত। তবে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে কমিশন সেগুলির মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করতে পারবে। নতুন পরীক্ষা বিধিতে বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হলেও কমিশনকে দু’বছর লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করতে হবে। এর পরে সেগুলি নষ্ট করা যেতে পারে। তবে প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর আরও ১০ বছর পর্যন্ত ওএমআর শিটের স্ক্যান কপি সংরক্ষণ করতে হবে।

Advertisement

Advertisement