অবশেষে কাশ্মীরের উধমপুরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের বাড়িতে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। নদিয়ার তেহট্টে তাঁর বাড়িতে গিয়ে শহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। নিহতের পরিবারের হাতে দুই লক্ষ টাকার একটি চেক তুলে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তবে দেরিতে যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কটাক্ষ করেছেন শাসকদল তৃণমূলের নেতারা। তাঁরা এটিকে বিলম্বিত বোধোদয় বলে মন্তব্য করেছেন! সমবেত কটাক্ষের মুখে পড়েই ‘ক্ষত মেরামত’ করতে শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎ বলে তাঁরা দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন বাংলার সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখ। পহেলগামে জঙ্গিরা বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করার পর উধমপুরে জঙ্গি নিকেশ অভিযানে ঝন্টুর প্রাণ বিসর্জন বাংলার মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু নিহত সেনা কমান্ডো ঝন্টু আলি শেখকে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা শ্রদ্ধা জানালেও তাঁর বাড়িতে যাননি শুভেন্দু অধিকারী। প্রশ্ন উঠতে থাকে পহেলগামে নিহতদের বাড়িতে গেলেও সেনা জওয়ানের মৃত্যুর পর তাঁর বাড়িতে যাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এমনকি মৃত্যুর পরে নদিয়ার তেহট্টে ঝন্টুর বাড়িতে বিজেপি নেতাদের কাউকেই দেখা যায়নি।
কিন্তু কেন যাননি তাঁরা? এব্যাপারে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি কটাক্ষের সুরে বলে, বিজেপির নেতারা পহেলগামে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়েছেন। কিন্তু ঝন্টু ধর্মে মুসলমান। তাই তাঁর বাড়িতে বিজেপির কেউই যাননি। জেনে বুঝেই তাঁরা ঝন্টুর পরিবারকে এড়িয়ে গিয়েছেন। এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেছিলেন, দলের স্থানীয় নেতৃত্ব তেহট্টে গিয়েছিলেন। খুব দ্রুত শীর্ষনেতারাও যাবেন। শহিদের কোনও ধর্ম হয় না।
উল্লেখ্য, ঝন্টুর দেহ তাঁর তেহট্টের বাড়িতে পৌঁছনোর পর তাঁর প্রতি অন্তিম শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র-এবং দলের অন্যান্য নেতারা। গিয়েছিল সিপিএমের প্রতিনিধিদলও। কংগ্রেস নেতারাও কলকাতা বিমানবন্দরে এবং তেহট্টের বাড়িতে ঝন্টুকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাতে চাপে পড়ে যান শুভেন্দু সহ বিজেপির অন্যান্য নেতারা।