• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ঐত্রীকান্ডে স্বাস্থ্য কমিশনে দ্বিতীয় দফার শুনানি

বৃহস্পতিবার ছোট্ট আড়াই বছরের ঐত্রীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মুকুন্দপুরের আমরি হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে দ্বিতীয় দফার শুনানি হল স্বাস্থ্য কমিশনে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও হাসপাতালে চিকিৎসার যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার পর তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত।Advertisement আর সেই রিপোর্টের বিভিন্ন অংশে উল্লেখ রয়েছে ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যুর ইঙ্গিত, বলে সূত্রের খবর।

ঐত্রীকান্ডে স্বাস্থ্য কমিশনে দ্বিতীয় দফার শুনানি

বৃহস্পতিবার ছোট্ট আড়াই বছরের ঐত্রীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মুকুন্দপুরের আমরি হাসপাতালের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে দ্বিতীয় দফার শুনানি হল স্বাস্থ্য কমিশনে।

ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও হাসপাতালে চিকিৎসার যাবতীয় নথি জমা দেওয়ার পর তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয়কুমার গুপ্ত।

Advertisement

আর সেই রিপোর্টের বিভিন্ন অংশে উল্লেখ রয়েছে ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যুর ইঙ্গিত, বলে সূত্রের খবর। এদিন দ্বিতীয় দফার শুনানিতে কমিশনের তরফে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল নার্স আরএমও সহ চিকিৎসককে।

Advertisement

অপরদিকে মৃত শিশুর পরিবারের তরফে একটি হলফনামা পেশ করে তাঁদের অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশমত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং ঐত্রীর পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১৫ জানুয়ারি হাসপাতালের ল্যাবে ঐত্রীর যে আইজিই পরীক্ষা করা হয়, সেখানে রেজাল্ট ছিল ১৬৪, যদিও এর সর্বোচ্চ সীমা থাকার কথা ৬০-এর নীচে। যদিও ইনজেকশন দেওয়ার পর শিশুটির আইজিই লেবেল বেড়ে গিয়েছিল।

কিন্তু এই ধরনের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরও কেন ঐত্রীকে বাঁচাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন কোনও সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ফরেন্সিক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, আড়াই বছরের শিশুকে ভর্তির পর ৪০০ মিলিগ্রাম পাওয়ারের ৩টি অগমেন্টিন ইন্ট্রাভেনাস ইনিজেকশান দেওয়া হয়, যদিও সাসপেনশন সিরাপ বা অন্য কোনও ওষুধ দিয়ে জরুরি চিকিৎসা করা যেত।

ইনিজেকশন দেওয়ার ফলে শিশুটির শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও শিশু চিকিৎসকের পরামর্শে ইনিজেকশন দেওয়ার কথা বলা হলেও নথিতে সেই চিকিৎসকের নামের উল্লেখ নেই।

হাইপাওয়ারের ইনিজেকশান দেওয়ার পর শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে ফরেন্সিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। এদিন স্বাস্থ্য কমিশনে ঐত্রীর বাবা-মায়ের শেষ শুনানি হয়। তাঁরা এখন তাকিয়ে রয়েছেন স্বাস্থ্য কমিশনের দিকে।

Advertisement