একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে সোনারপুরের ঋদ্ধিকা-সহ অন্যান্য এসএমপি টাইপ-১ রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ‘জীবন ভাণ্ডার’ নামে নতুন প্রকল্প চালু করার আর্জি নদীয়া থেকে আশা প্রীয়সী ঘোষের। তিনি বলেন, দিদি যেমন মানুষের স্বার্থে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ‘স্বাস্থ্যসাথী’ ইত্যাদি প্রকল্প চালু করেছেন, তেমনই অসুস্থ শিশুদের জন্য কিছু প্রকল্প চালু করুন। প্রীয়সীর পরনে সাদা শাড়ি। সামনে রাখা দুটি সাদা হাওয়াই চটি আর হাতে রয়েছে একটি ঘর যাতে লেখা ‘জীবন ভাণ্ডার’। প্রীয়সী বলেন, ‘দিদি যদি পাশে না থাকেন তাহলে ছোট ছোট বাচ্চাদের আমরা বাঁচাতে পারবো না। এখনো পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৫০ লক্ষ টাকা আমরা জোগাড় করতে পেরেছি। তবে ওই মহামূল্যবান ইনজেকশনের কাছে এটি অত্যন্ত সামান্য।’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে শিশুদের মধ্যে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি টাইপ-১ নামক একটি বিরল রোগ দেখা যাচ্ছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুদের মাংসপেশী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায় এবং কার্যকারিতা হারায়। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল রানাঘাটের অস্মিকা এবং সোনারপুরের ঋদ্ধিকার নাম। এই রোগের একটি ইনজেকশনের দাম প্রায় ১৬ কোটি টাকা যা সাধারণ মানুষের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়। অস্মিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্য ও দেশের বহু মানুষ সঙ্গে টলিপাড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে গায়ক-গায়িকারা। তবে ঋদ্ধিকার চিকিৎসা খরচ এখনও সম্পূর্ণ জোগাড় করা যায়নি।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



