• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিটে এখনও মেলেনি রাজভবনের অনুমোদন

মানিক ভট্টাচার্যের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর চার্জশিটের ক্ষেত্রেও অনুমোদন পাওয়া যায়নি

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিটে এখনও অনুমোদন মেলেনি রাজভবনের। রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য এখনও পর্যন্ত অপেক্ষা করছে সিবিআই। শুক্রবার বিচার ভবনে একথা জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। মানিক ভট্টাচার্যের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর চার্জশিটের ক্ষেত্রেও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে কোনও ব্যক্তি থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাজভবনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। তাই মানিক ও রত্নার ক্ষেত্রেও অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। যদিও অনুমোদনের সময়সীমা এখনও অতিক্রান্ত হয়ে যায়নি। সিবিআই রাজভবনের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোর পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ হারিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তারপর তাঁকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর তিনি জামিন পেয়েছেন। গত অক্টোবর মাসে প্রাথমিক মামলার চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই। চার্জশিটে মানিক ছাড়াও নাম ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী ও বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি বিভাস অধিকারীর।
রত্নার ক্ষেত্রে রাজভবনের অনুমোদন লাগলেও বিভাসের ক্ষেত্রে কোনও পৃথক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। রত্না যেহেতু সরকারি পদে রয়েছেন সেই কারণে তাঁর ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন দরকার।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী, চার্জশিট জমা দেওয়ার পর রাজভবনের অনুমোদনের জন্য তিন মাস সময় থাকে। গত অক্টোবরে মানিক ও রত্নাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে এখনও সময়সীমা অতিক্রম হয়নি। তাই এখনও সিবিআই অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে।
উল্লেখ্য, ভুয়ো অফিস খুলে প্রতারণার অভিযোগে কয়েকমাস আগে অন্য একটি মামলায় নয়ডা থেকে বিভাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অফিসের নাম ছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল পুলিশ অ্যান্ড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন’। বিভাসের পাশাপাশি তাঁর পুত্র অর্ঘ্য-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের অফিসে অভিযান চালিয়ে তিনটি মোবাইল ফোন, তিনটি পৃথক ব্যাঙ্কের চেকবই, ১৬টি রাবার স্ট্যাম্প, একটি স্ট্যাম্প প্যাড, তিনটি ভিজিটিং কার্ড, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড, লেটারহেড, শংসাপত্র, একাধিক এটিএম কার্ড এবং ৪২ হাজার ৩০০ টাকা নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিভাস অধিকারীর নাম উঠে এসেছিল। তিনি আগে বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিতি ছিল তাঁর।

Advertisement

Advertisement