• facebook
  • twitter
Thursday, 13 February, 2025

তৃণমূল বিধায়কের গাড়িতে ধাক্কার ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন গাড়ি

সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে ধাক্কার ঘটনায় এক যুবকের গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। বৈষ্ণবনগরের ১৮ মাইল এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম মহম্মদ সানিজ আখতার।

তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে ধাক্কার ঘটনায় এক যুবকের গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। বৈষ্ণবনগরের ১৮ মাইল এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকের নাম মহম্মদ সানিজ আখতার। তাঁকে মানিকচক থানায় ডেকে পাঠিয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর মোবাইল এবং গাড়ি। তবে আটক ব্যক্তির দাবি, তিনি কাউকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেননি, স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুলিশি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

গত শনিবার রাতে তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ধরমপুরের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে। চালকের তৎপরতায় রক্ষা পান সাবিত্রী মিত্র। বিধায়কের অভিযোগ, ধাক্কা মারার পরও ইউটার্ন নিয়ে পিছু ধাওয়া করেছিল ওই সন্দেহজনক গাড়িটা। সাবিত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে গাড়ির নম্বর হিসেবে আংশিকভাবে ৪৭০৬ উল্লেখ করে সাবিত্রী মিত্র।

এরপর এই নম্বর ব্যবহারকারী রাজ্যের সমস্ত গাড়ির উপর নজরদারি চালায় পুলিশ। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সেই সূত্র ধরেই বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার সানিজের নাম উঠে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার রাতে গাড়ি নিয়ে মানিকচকের রাস্তায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। সানিজ নিজেও তা স্বীকার করেছেন। তবে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি মানতে চাননি তিনি। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ফলে এখনই কিছু বলা যাবে না।

বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলে, পুলিশ সঠিক ভাবেই কাজ করছে। একটি গাড়ি ধরা পড়েছে। এক জনকে ধরা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর মন্তব্য, আমার কোনও রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত শত্রু নেই। আমাকে মারবে কে! কিন্তু এটি কেন হয়েছে, তা আমি জানি না। কেউ যদি মত্ত অবস্থায় এটি করে থাকে, সেটিও পুলিশ নিশ্চয়ই ধরবে।

সানিজ বলেন, গাড়ির ব্যবসা-সহ অন্যান্য ব্যবসার কারণে প্রায়ই এদিক ওদিক যাই। শনিবার মানিকচক বড়বাগানে পিসির বাড়ি গিয়েছিলাম। রাস্তায় যখন গাড়ি চালাই, সামনে বা পিছনে কার গাড়ি তা তো আর বুঝতে পারি না। এ ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে থাকতে পারে। সাবিত্রী মিত্রের সঙ্গেও কথা হয়েছে। গত শনিবার রাতেই মানিকচক থানা থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। স্থানীয় থানায় দেখা করতে বলা হয়।