• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ধর্মীয় আবেগে মানুষ কুম্ভমুখী: অধীর

ধর্মীয় আবেগে মানুষ কুম্ভমুখী হয়েছেন। সেটাকে মরণকুম্ভ বলে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আমি আহত বা আঘাত করতে পারি না। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী। মহাকুম্ভে মানুষের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মুর্শিদাবাদ

ফাইল চিত্র

ধর্মীয় আবেগে মানুষ কুম্ভমুখী হয়েছেন। সেটাকে মরণকুম্ভ বলে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আমি আহত বা আঘাত করতে পারি না। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কার্যকরী কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী। মহাকুম্ভে মানুষের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিকরা অধীর চৌধুরীকে প্রশ্ন করলে, উত্তরে তিনি এই মক্তব্য করেন। সেইসঙ্গে তিনি এও জানান, কোনো পক্ষে-বিপক্ষে নয়। সব ধর্মীয় আবেগকে আমরা সম্মান দিয়ে থাকি। কিন্তু যাঁরা মহাকুম্ভ পরিচালনা করছেন, উত্তরপ্রদেশ সরকারের সেই সমস্ত দপ্তরের ব্যর্থতা এবং অব্যবস্থার কারণেই এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে।

এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, ‘মহাকুম্ভের আকর্ষণে শুধু ভারতবর্ষের নয়, দেশের বাইরেও অনেক দেশ থেকে মানুষ সেখানে পবিত্রস্নান করছেন। সেখানে এর মধ্যেই বলা হচ্ছে প্রায় ৫৩-৫৪ কোটি মানুষ স্নান করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের একটা আকর্ষণ আছে—ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক আকর্ষণ, যা-ই হোক। আমরা যেভাবেই ব্যাখ্যা করি না কেন, সেই আকর্ষণে মানুষ সেখানে যাচ্ছেন। কুম্ভ স্নান করছে। আমি এটাকে কখনও কটাক্ষ করতে পারি না। নিশ্চয়ই সেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য আমরা প্রতিবাদ করেছি। যাঁরা মেলা পরিচালনা করছেন, এটা তাঁদের ব্যর্থতা। তার জন্য মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যেটা আমাদের সব থেকে বড়ো আপত্তি, যেটা সব থেকে নিন্দা করেছি ভারতবর্ষের পার্লামেন্টেও। কারা মারা গেল, সরকার সেই ব্যাপারটাকে গোপন করছিল। আমাদের প্রতিবাদটা এই জায়গায়। মানুষের আবেগ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ নেই। মানুষ ধর্মের টানে যাচ্ছেন, তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। সেখানে ৫৪ কোটি মানুষের স্নান হয়ে গিয়েছে, এটা পৃথিবীতে কোথাও হয়নি কোনোদিন।’

Advertisement

Advertisement

Advertisement