প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি। আপাতত অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পার্থ। চিকিৎসক সৌরেন পাঁজার নেতৃত্বে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। তাঁর চিকিৎসার জন্য তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। চিকিৎসক সৌরেন পাঁজা ছাড়াও বোর্ডে রয়েছেন কার্ডিয়োলজিস্ট অনুপ খৈতান এবং নেফ্রোলজিস্ট প্রতীক দাস। শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তিনি এসএসকেএম থেকে এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পার্থ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শরীরে ‘কার্ডিয়াক ফেলিওর’-এর লক্ষণ দেখা গিয়েছে। মূলত সেই কারণেই অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে তাঁকে। কার্ডিয়োলজিস্ট অনুপ খৈতানের কড়া নজরদারিতে রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ফুসফুসে সংক্রমণ রয়েছে, ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি। তাই তাঁর সিটি স্ক্যান করা হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০২২ সালের জুলাই মাসে শিক্ষা দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ২০ জানুয়ারি সংশোধনাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই কয়েকদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২৮ জানুয়ারি রাতের দিকে তাঁকে এসএসকেএমেরই আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। আর সেখান থেকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থকে।