• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছে তাঁকে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট জামিন দিয়েছে তাঁকে। সোমবার এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি এনকে সিংয়ের বেঞ্চ। ইডির মামলায় আগেই জামিন পান পার্থ, এবার সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন পেলেন। তবে সূত্রের খবর, এই মুহূর্তেই জেলমুক্তি হচ্ছে না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। কারণ পার্থর বিরুদ্ধে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির মামলা রয়েছে। সোমবার শীর্ষ আদালতে জামিন পেয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং শিক্ষা বিভাগের আধিকারিক শান্তিপ্রসাদ সিনহাও।

সোমবার সিবিআইয়ের মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন, কিন্তু মামলার নিষ্পত্তির দিকে কোনও অগ্রগতি হয়নি।’ প্রসঙ্গত, এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নীচুতলার বহু কর্মী ও আধিকারিক আগেই জামিন পেয়েছেন। সেই যুক্তি দিয়েই পার্থর জামিনের দাবি আদালতে তোলা হয়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন দিল। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘আমরা প্রায়ই শুনি, ওমুক মামলায় তিনি জামিন পেলেন, কিন্তু তাঁর জেলমুক্তি হচ্ছে না, কারণ তাঁর বিরুদ্ধে আরও ওমুক মামলা রয়েছে। আজকেও জানি না, কোন মামলায় জামিন পেলেন, আর কোন মামলায় জেলে থাকবে না। কিন্তু এটাও ঠিক, ইডি-সিবিআই অকৃতকার্য। একজন তো অনির্দিষ্টকাল জেলে থাকতে পারেন না।’

Advertisement

আদালতের নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। দু’মাসের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু করতে হবে। শীর্ষ আদালত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে। তাঁকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে, নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনওভাবেই এলাকা ছেড়ে যেতে পারবেন না। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘আমি মনে করি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন পাওয়া উচিত নয়। কারণ তিনি একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত। একটা চাকরিতে দুর্নীতিতে করেছে, তা তো নয়। ফলে একটাতে জামিন পেলেও, বাকি অনেক মামলা রয়েছে। আমি ইডি-সিবিআই-এর কাছে আর্জি জানাব, আরও তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত করুক।’

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। সেই থেকে জেলে রয়েছেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক। সিবিআই পার্থকে গ্রেপ্তার করে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর। পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও। পরে অর্পিতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement