অর্পিতার মামাবাড়িতে ‘ছিপ’ ফেলতেন পার্থ

বনপলাশীর পদাবলী’র সেই দৃশ্যটার রি-টেক।ওই সিনেমায় উত্তমকুমারের লিপে মান্না দে’র সেই বিখ্যাত গান ‘দেখুক স্বয়ং পাড়া পড়শিতে, কেমন মাছ গেঁথেছি বঁড়শিতে’।

Written by SNS Kolkata | July 26, 2022 10:34 am

এ যেন বনপলাশীর পদাবলী’র সেই দৃশ্যটার রি-টেক। মনে আছে ওই সিনেমায় উত্তমকুমারের লিপে মান্না দে’র সেই বিখ্যাত গান ‘দেখুক স্বয়ং পাড়া পড়শিতে, কেমন মাছ গেঁথেছি বঁড়শিতে’।

সেই দৃশ্যে উত্তমকুমারের ছিপের বঁড়শি গেঁথে ফেলেছিল সুপ্রিয়া দেবীর বক্ষদেশ। সেই কাটা উপড়ানোর দৃশ্যে রক্ত চলকে পড়ে দর্শকদের চোখে।

সত্তর দশকে উত্তমকুমারের পরিচালনায় বাংলা সিনেমায় ওই সাহসী দৃশ্য দেখে চমকে গিয়েছিল বাংলা সিনেমার দর্শক। অবশ্য সেই দৃশ্যে ‘মাছ নয় এ মৎস্যকন্যা’ সুপ্রিয়া চৌধুরীই উত্তমকুমারের ছিপে গাঁথা হয়েছিল।

শোনা যাচ্ছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের হুগলির মামাবাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছিপ ফেলতেন। যা নিয়ে উত্তমকুমারের লিপ দেওয়া গানটিই ঘুরে ফিরে আসছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে।

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মামার বাড়ি হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। দিলাকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাবাটি গ্রামে অর্পিতার মামাবাড়ির পাড়ার পুকুরে মাঝেমধ্যেই নাকি ছিপ ফেলতে আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

তবে সেই ছিপে মাছ নাকি মৎস্যকন্যা কী গাঁথা হয়ে যেত সে খবর অবশ্য গ্রামবাসীদের কাছে নেই।

তবে তাঁরা বাইরে থেকে যা দেখতেন, বছরে নাকি পাঁচ থেকে ছয়বার মথুরাবাটিতে আসতেন। যখন আসতেন, তখন চারিদিক পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যেত। তখন রীতিমতো অসুবিধের মধ্যেই পড়তেন গ্রামবাসীরা।

শুধু মথুরাবাটিতেই নয়, বারুইপুরের বেগমপুরের পুড়ি এলাকার বাগানবাড়িতেও ঘনঘন আসতেন অর্পিতা।

সেই বাগানবাড়ির নাম ছিল ‘বিশ্রাম’। এই বিশ্রাম-এর ভেতরের পুকুরে বঁড়শিতে টোপ লাগিয়ে মাছ ধরতেন অর্পিতাও।

গত ক’দিনে পার্থ অর্পিতার সম্পর্ক নিয়ে সরগরম গোটা রাজ্য। কে টোপ দিত আর কার হাতে ছিপ থাকত সেই বিষয়ে কোনও উপসংহারে পৌঁছনো সহজ কাজ নয়।

তবে মহাভারতের উদাহরণ টেনে বলা যায়, পার্থর উচিত ছিল লক্ষ্যভেদের সময়ে শুধুমাত্র মাছের চোখ তথা টাকার দিকেই নজর করা।

তাহলে হয়তো ঠিকঠাক লক্ষ্যভেদ করতে পারতেন। কিন্তু এক্ষেত্রে লক্ষ্যভ্রষ্টই হলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাই তাঁকে যেতে হল শ্রীঘরে।