২০২৬ সালে তৃণমূল বা বিজেপি কেউই এককভাবে সরকার গড়তে পারবে না, মুখ্যমন্ত্রীকে হুমায়ুন কবীরের সাহায্য নিতে হবে। এমনটাই মনে করেন ভরতপুরের বিধায়ক তথা সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর। হুমায়ুনের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য কোটি কোটি টাকা অনুদান জমা পড়েছে। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নগদ টাকার অঙ্ক এর মধ্যেই ৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। অনেকে সোনার গয়নাও দান করেছেন। আবার অনেকে অনলাইনেও অনুদান দিয়েছেন। টাকা গোনার কাজ চলছে। সব মিলিয়ে অনুদানের অঙ্ক পাঁচ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে মসজিদের অছি পরিষদ।
অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেন হুমায়ুন। মসজিদের শিলান্যাসের ঘোষণা তিনি আগেই করেছিলেন। এই শিলান্যাসে তৃণমূলের সম্মতি ছিল না। এই নিয়ে হুমায়ুনকে সতর্কও করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মসজিদ শিলান্যাসের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। এর জেরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরেও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি ভরতপুরের বিধায়ক। বহিষ্কৃত হয়েও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় মসজিদের শিলান্যাস করেন তিনি।
সেই দিন সভাস্থলে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। ৪০ হাজার মানুষকে বিরিয়ানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সভাস্থলে ১১টি অনুদানের বাক্স রেখেছিলেন হুমায়ুন। সেই বাক্সগুলি প্রায় ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বাক্সে ৫০০ টাকার নোট থেকে শুরু করে খুচরো সবই পাওয়া যাচ্ছে। মেশিনের সাহায্যে টাকা গোনার কাজ চলছে। এই কাজের জন্য ৩০ জনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও গয়নাও পাঠাচ্ছেন মানুষ। মসজিদ নির্মাণের জন্য ইট, বালি ও পাথরও দান করছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, অনুদানের টাকা ও গয়না সংরক্ষণের জন্য একটি আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে সিসিটিভি-সহ সব রকমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
ইতিমধ্যেই নতুন দল তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন হুমায়ুন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দেবেন তিনি। তার মধ্যে ৯০টি আসনে জেতার টার্গেট রয়েছে তাঁর। হুমায়ুন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি মিম–এর সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটের ময়দানে নামবেন। হুমায়ুনের কথায়, ‘২০২৬ এ তৃণমূল বা বিজেপি কেউই এককভাবে সরকার গড়তে পারবে না। যিনি মুখ্যমন্ত্রী হোন না কেন হুমায়ুন কবীরের সাহায্য নিতে হবে। আমাকে না নিয়ে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছি। যে কেউ আমার সঙ্গে জোট করতে পারে। আমি কার ভোট ভাগ করব, কার ক্ষতি হবে জানি না। আমি আমার মতো প্রার্থী দেব। তাতে কার কী হল, আমার কিছু যায় আসে না।’
Advertisement