• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

মহারাষ্ট্রে ফের বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের

মহারাষ্ট্রে ফের এক পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। মৃত শ্রমিকের নাম নইমুদ্দিন শেখ। তিনি বীরভূম জেলার নলহাটির বাসিন্দা।

মহারাষ্ট্রে ফের এক পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। মৃত শ্রমিকের নাম নইমুদ্দিন শেখ। তিনি বীরভূম জেলার নলহাটির বাসিন্দা। মুম্বইয়ের ভান্ডু এলাকায় কাজ করতে গিয়ে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, নির্মাণ সংস্থার মালিকের সঙ্গে অর্থ নিয়ে বিরোধের কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে।

নইমুদ্দিন শেখ ২০০০ সাল থেকে বাইরে কাজ করতে যেতেন। তাঁর পরিবার জানায়, গত রবিবার তিনি ফোনে বাবা গোলামউদ্দিন শেখের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার নইমুদ্দিনের মৃতদেহ ভান্ডুর এক হাসপাতালে পাওয়া যায়। শুক্রবার তাঁর দেহ পৌঁছায় নলহাটির গ্রামের বাড়িতে।

Advertisement

পরিবারের দাবি, নইমুদ্দিনের একটি নির্মাণ সংস্থার থেকে আট লক্ষ টাকা পাওনা ছিল। বারবার টাকা চেয়েও তিনি তা পাননি এবং উল্টো হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। গোলামউদ্দিন বলেন, ‘টাকার জন্য আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তাঁর মোবাইল এবং অন্যান্য নথি ছিনতাই করা হয়েছিল। আমি ওই নির্মাণ সংস্থার মালিকের শাস্তি চাই।’ কী ভাবে নইমুদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পরিবারের দাবি, হাসপাতালের তরফেও তাদের কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

অন্যদিকে মালদহের শ্যামনাথ সিংহ নামে ২৪ বছরের এক যুবকও গুজরাতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। তিনি আহমেদাবাদে একটি নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছিলেন। শ্যামনাথের স্ত্রী কল্পনা সিংহ বলেন, ‘এভাবে চলে যাব, তা কখনও ভাবিনি। এখন সংসার কীভাবে চলবে, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। ওখান থেকে ফোন করে অন্যরা বলল, কাজ করার সময় বিদ্যুতের তারে লেগে গিয়েছিল।’

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে গুজরাতের আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎপৃষ্ট হন শ্যামনাথ। এরপরেই সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শ্যামনাথের। গ্রামের বাড়িতে এই খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।

এই ঘটনার পর একবার আবারও পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বিজেপিশাসিত রাজ্যে একের পর এক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এবং মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। প্রশ্ন উঠছে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে, বিশেষ করে যখন তারা অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে এমন ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।

Advertisement