‘ক্যাডার রুলস’ সংশোধনীর প্রতিবাদ জানিয়ে মোদিকে দ্বিতীয় চিঠি মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদিকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে তিনি লিখেছেন এই সংশোধনী কার্যকর হলে আমলাদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হবে, যা তাঁদের কাজে প্রভাব ফেলবে।

Written by SNS Kolkata | January 21, 2022 7:29 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: IANS)

সর্বভারতীয় স্তরের আমলাদের নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণের নিয়ম ‘ক্যাডার রুলস’ এ কেন্দ্রীয় সরকারের বদল আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের সেই সংশোধনীর প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সংশোধনী এনে প্রস্তাবকে আরও কঠোর করা হয়। নিয়মের নয়া রদবদলকে ‘দানবীয়’ বলে উল্লেখ করে এক সপ্তাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিতীয়বার চিঠি লিখে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা। কেন্দ্রের এই সংশোধনী প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলে দাবি করেন তিনি।

কেন্দ্র মত ১৯৫৪ সালের আইএএস ক্যাডার রুলস অনুযায়ী আইএএস এবং আইপিএস সহ সর্বভারতীয়স্তরের আমলাদের নিয়ন্ত্রণের রাশ রাজ্যের পারস্পারিক আদানপ্রদানের ভিত্তিতেই হয়ে থাকে রাজ্য প্রশাসনের অভিযোগ, আইন সংশোধন করে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই সংশোধনী কার্যকর হলে আমলাদের রাজ্যে নিয়োগ, কোন পদের দায়িত্ব তিনি পাবেন, এমন সব বিষয় কেন্দ্রই ঠিক করে দেবে। সেখানে রাজ্যের মতামতের আর কোনও গুরুত্বই থাকবে না।

এমনকী ওই আমলাদেরও আর কোনও বক্তব্য শোনা হবে না অথচ এতদিন পর্যন্ত আমলা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকলে তার রাশ কেন্দ্রের হাতে এবং রাজ্যে থাকলে তা নিয়ন্ত্রিত হয় রাজ্যের প্রশাসনের ওপর। কেন্দ্রের নয়া সংশোধিত আইনে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। সংশোধনী প্রস্তাবে আরও কিছু রদবদল ঘটানো হয়েছে।

কেন্দ্রের নয়া সংশোধনী অনুযায়ী রাজ্যে কর্মরত যে কোনও আইএএস বা আইপিএসসহ কোনও কেন্দ্রীয় আমলাকে যে কোনও সময় দেশের যে কোনও প্রান্তে বদলি করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতির কোনও প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকার ‘রিলিজ’ না দিলেও কেন্দ্রের হাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার মোদিকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেখানে তিনি লিখেছেন এই সংশোধনী কার্যকর হলে আমলাদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হবে, যা তাঁদের কাজে প্রভাব ফেলবে।

রাজ্যের প্রতি আর তাদের আনুগত্য থাকবে না মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, কেন্দ্র এই সংশোধনীকে আইনে পরিণত করলে কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক আরও জটিল হবে।

কেন্দ্রে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা নিজেদের মতো করে এই আইনকে ব্যবহার করবে। রাজ্যগুলি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হারাবে। সেই কারণে আরও একবার এই সংশোধনী প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।