কেরল’কে ভাল বলে বাংলার সিপিএম’কে ধিক্কার মমতা’র

বনধ নিয়ে বাংলার সিপিএম’কে তীব্র ভৎসনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বনধের ইস্যর প্রতি তৃণমূলের সমর্থন থাকলেও সিপিএমের বনধের সস্তা রাজনীতিকে সমর্থন করেন না মমতা।

Written by SNS Kolkata | January 9, 2020 1:02 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (File Photo: IANS)

বনধ নিয়ে বাংলার সিপিএম’কে তীব্র ভৎসনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার সাগর থেকে কলকাতা ফেরার পথে হেলিপ্যাডে মমতা সিপিএমের উদ্দেশে বলেন, ওদের পলিটিক্যাল ডেথ হয়েছে। কেরালার সিপিএম অনেক ভালাে। শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন না করে ওরা গুণ্ডামি, ডান্ডাবাজি করছে। তবে গায়ের জোরে ওদের বন্ধ করতে দেওয়া হয়নি। হবেও না।

বনধের ইস্যর প্রতি তৃণমূলের সমর্থন থাকলেও সিপিএমের বনধের সস্তা রাজনীতিকে সমর্থন করেন না মমতা। এটা বােঝাতে তুলনা টেনে তৃণমূল নেত্রী বলেন, বনধ করা সহজ, আন্দোলন করা অনেক কঠিন। আন্দোলন করতে হয় জীবন দিয়ে। এজন্য রাস্তায় নামতে হয়। পথে পড়ে থাকতে হয়। আমরা সরকারে থেকেও এনআরসি, এনপিআর’এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা একটা ধারাবাহিক পদ্ধতি। সিঙ্গুরে কৃষিজমি আন্দোলনের সময় আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। এর আগেও মানবিক অধিকার রক্ষা ‘লিক আপ’ নীতির বিরুদ্ধে ২১ দিন ধরনা দিয়েছি ধর্মতলায়। কোথাও কোনও বাস-ট্রাম পােড়ানাে, সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করা হয়নি।

জেএনইউ ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করেও আমরা সেখানে প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। সিপিএমের তাে পার্টি অফিস রয়েছে দিল্লিতে। ওরা সেখানে কী ভূমিকা নিয়েছে? বুধবার বনধের নামে রাজ্যে হামলা চালানাের নীতিকে আক্রমণ করে মমতা প্রশ্ন করেন, ওরা কোথাও ট্রেনের নীচে বােমা রেখে দিয়েছে। যদি মানুষের জীবন চলে যেত, তাহলে কী হত? দুর্গাপুরে বাইক ভেঙেছে, পাথর ছুঁড়েছে- এটা আন্দোলন নয়, গুন্ডাগিরি। শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন না করে গুন্ডাগিরি করে নিজেদের অস্তিত্বকে জাহির করছে সিপিএম। ঘােলা জলে মাছ ধরতে বনধ ডেকেছে।

মুখ্যমন্ত্রী বামেদের কটাক্ষ করে বলেন, ক্ষমতায় থাকুক না থাকুক, ভারতের অর্থনীতির সাম্প্রতিক অবস্থার কথা ওদের মাথায় রাখা উচিত ছিল। বন্ধ করলে সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, খেতমজুর এদেরই ক্ষতি হয়। বনধ ডেকে সিপিএম মানুষের ক্ষতি করছে বলেই সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী।