২০২১ বিধানসভা ভােটের আগে এটাই শেষ রাজ্য বাজেট। এবার এই বাজেটের ওপর বক্তৃতা বয়কট করার কথা ঘােষণা করা হয়েছে বাম-কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের তরফে। মঙ্গলবার বিধানসভার প্রেস কর্নারে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান বিধানসভার বিরােধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। এবারই প্রথম নজিরবিহীনভাবে রাজ্যপালের বক্তৃতা ছাড়াই বাজেট অধিবেশন হচ্ছে। এই নিয়েও বাম কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তােলা হয়েছে। যদিও সরকার পক্ষ এনিয়ে নীরব।
গত ১০ বছরে বিরােধী দলের কোনও কথাই শােনা হয়নি। সেকারণে এই বাজেট বক্তৃতা বয়কট করার কথা ঘােষণা করা হয়েছে। রাজ্যপালের বক্তৃতা কেন হচ্ছে না, সে কথার সদুত্তর দিতে পারেনি সরকার পক্ষ। ১৯৬৩ সালে ভারত-চিনের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল। সেই সময় রাষ্ট্রপতি সংসদে বক্তৃতা দিতে পারেননি। এখানে কি সেরকম কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে? এই প্রশ্নও তােলেন আব্দুল মান্নান।
অন্যদিকে, বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘৫ তারিখ বিকেল ৪ টেয় রাজ্য বাজেট। আর দুপুর ২ টায় বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক। এই বৈঠকে বিরােধীদের জানানাে হবে রাজ্য বাজেট প্রসঙ্গে। ফলে বিরােধীদের যে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে, একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেকারণেই বাজেট বক্তৃতায় থাকার প্রশ্ন উঠছে না।’ যদিও এই নিয়ে মান্নান এবং সুজন এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
অন্যদিকে, এদিন সংসদে বাজেট নিয়ে আলােচনায় সরকার পক্ষের প্রথম বক্তা ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাহলে কি বিজেপি’তে হুগলির এই সাংসদের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে? কারণ প্রথমে লকেট ছিলেন মহিলা মাের্চার সভানেত্রী। পরে তিনি হন রাজ্য বিজেপি’র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। এরপর রাজ্য জুড়ে কৃষক সুরক্ষা অভিযানের নেতৃত্বেও তিনি ছিলেন। সম্প্রতি ডুমুরজলায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের যােগদানমঞ্চ পরিচালনার দায়িত্বেও তাঁকে দেখা যায়। ফলে গুঞ্জন বিজেপি’তে লকেটের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে।