• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

নবান্নের প্রস্তাবে কমিশনের সায় ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরসভার ভোট

আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা হাওড়া পুরসভার ভোট করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

নবান্ন (Photo@Arnab Biswas/SNS Web)

আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা হাওড়া পুরসভার ভোট করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।

সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রস্তাবে রাজিও হয়েছে কমিশন। পরিস্থিতির বড় কোনওরকম বদল না হলে ভোট করাতে প্রস্তুতি নিতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ গঙ্গার পূর্ব পশ্চিমের দুই বড় ও প্রাচীন শহরে আগামী মাসেই ফের ভোটের দামামা বাজতে চলেছে।

Advertisement

কমিশনের তরফে খবর, কালীপুজো, ভাইফোটার পরই কলকাতা ও হাওড়া পুরনিগমের ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে। কলকাতায় ১৪৪ টি এবং হাওড়ার ৬৬ টি পুর আসনে ভোট হবে ইভিএম মেশিনেই। নবান্নের দাবি অনুযায়ী আগামী ২২ ডিসেম্বর হবে পুরভোটের গণনা।

Advertisement

তবে বড়দিনের উৎসবের আগে বিধাননগর করপোরেশনের ভোট করাতে চায় না রাজ্য সরকার। কী কারণে বিধাননগরে ভোট এখনই হচ্ছে না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গতবার বিধাননগরের পুরভোট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।

সব্যসাচী দত্ত মেয়র থাকাকালীনই মুকুল রায়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা, তাঁর বাড়িতে যাওয়া, লুচি আলুর দম খাওয়া নিয়ে নানান বিতর্ক উঠেছিল। বর্তমানে মানে মুকুল রায় এবং সব্যসাচী দত্ত দুজনেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে যাওয়ার পরে বিধাননগর ভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার।

গত বছর মে মাসে কলকাতা করপোরেশন মেয়াদ ফুরিয়েছিল। একই সঙ্গে শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর, আসানসোল ও চন্দননগর করপোরেশনেরও মেয়াদ ফুরিয়েছে একই সঙ্গে। এছাড়াও একশোরও বেশি পুরসভাতেও এখন কাজ চালাচ্ছে প্রশাসকমণ্ডলী।

রাজ্য বিজেপি সভাপতির দাবি, দুই বড় শহরে পুরভোটেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকুক কেন্দ্রীয় বাহিনী। না হলেই ভোট লুঠ করবে তৃণমূল। বিজেপির দাবি, ভোট অবাধ হলেই এই দুই শহরে জিতবে বিজেপি প্রার্থীরা।

নবান্ন সূত্রে খবর, করোনা আবহের কারণে যেসব জায়গায় পুরভোেট পিছিয়েছে, সেখানে ধাপে ধাপে পুরভোট করতে চায় রাজ্য সরকার। রাজ্যের বাকি পুরসভাগুলির ভোট জানুয়ারিতে তিন-চার দফায় করার প্রস্তাব কমিশনকে দিতে পারে নবান্ন। প্রতিটি জায়গাতেই প্রশাসকরা বর্তমানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

উৎসবের মরসুম শেষ হলেই পুরভোট হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী , পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই এই ভোট হওয়ার কথা।

Advertisement