শনিবার বালুরঘাটে বিজেপির মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। রাজ্যে ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর কর্মচ্যুতি এবং মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে এই মিছিল করে বিজেপি। তাঁদের লক্ষ্য ছিল মহকুমা শাসকের দপ্তর ঘেরাও করা। কিন্তু পুলিশের বাধায় জেলাশাসকের দপ্তরের সামনেই দুপক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দলের রাজ্য সভাপিত সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এই মিছিলে সামিল হন জেলার একাধিক নেতা ও কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে মিছিলটি পৌঁছতেই পুলিশ ‘হাই সিকিওরিটি জোন’ বলে বিজেপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বাধা দেয়। জায়গাটি ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। বিজেপির মিছিল সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বালুরঘাটের জেলাশাসক চত্বর। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলে বিজেপি।
প্রসঙ্গত বালুরঘাটে মহকুমা শাসকের দপ্তরটি জেলাশাসকের দপ্তরের পাশেই। যেহেতু এটি হাই সিকিউরিটি জোন, সেজন্য বিজেপির এই কর্মসূচির জেরে আগে থেকেই এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। দুপুর ২টো নাগাদ বালুরঘাটের মাদার টেরেসা মোড় থেকে বিজেপির মিছিল বের হয়। গোটা শহর পরিক্রমা করে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে পৌঁছতেই পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। কয়েকজন বিজেপি কর্মী বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির অন্যান্য নেতারা মহকুমা শাসকের দপ্তর ঘেরাওয়ের জন্য জেলাশাসকের কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। যার জেরে পুলিশি বাধার মুখে দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করতেই বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী, সমর্থক জখম হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।
এব্যাপারে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। চাকরিহারা এবং মুর্শিদাবাদের ওয়াকফ অশান্তির প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশ আমাদের মিছিল আটকে অশান্তি তৈরি করেছে।’