• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

দ্রুত তৈরি হলং সেতু, স্বস্তিতে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা

চলতি অক্টোবরের গোড়ায় ভুটান থেকে নেমে আসা জলের তোড়ে এবং প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়েছিল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা।

অক্টোবরের গোড়ায় ভুটান থেকে নেমে আসা জলের তোড়ে এবং প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়েছিল উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। বিশেষ করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে নদী ফুলে-ফেঁপে ওঠায় ভেঙে পড়েছিল বহু সেতু, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বহু ঘরবাড়ি ও হোটেল। সম্পূর্ণ ভেসে গিয়েছিল জলদাপাড়া সংলগ্ন হলং নদীর উপর কাঠের সেতুটি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। সেই বিপর্যয়ের পর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হল নতুন কাঠের সেতু। রবিবার সেই সেতু খুলে দেওয়া হল সাধারণের জন্য।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই সেতু খুলে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই দ্রুত উদ্ধারকাজ ও পরিকাঠামো পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই ফলে দ্রুত এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হল বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Advertisement

জলদাপাড়ার হলং নদী বিপর্যয়ের সময়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। স্রোতের তোড়ে ভেসে গিয়েছিল আগের কাঠের সেতুটি। তার ফলে জলদাপাড়া, হলং ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতির মুখে পড়ে হোটেল, রিসর্ট ও হোম স্টে ব্যবসা। এমন অবস্থায় পর্যটন মরশুমের ঠিক আগে নতুন সেতু তৈরি হওয়ায় আশার আলো দেখছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

এলাকার এক বনকর্মী বলেন, ‘সেতু না থাকায় হাতি লোকালয়ে ঢুকলে দ্রুত পৌঁছনো যাচ্ছিল না। ঘুরপথে আসতে হচ্ছিল, সময় লাগছিল অনেক বেশি। এখন সেই সমস্যা মিটল।’ পর্যটন ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য জানান, ‘পর্যটকদের অনেক বুকিং বাতিল হয়েছিল। এখন সেতু তৈরি হওয়ায় আশাকরি ধীরে ধীরে পর্যটক আসা বাড়বে।’

প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু সেতুই নয়, বন্যা ও ধস কবলিত অন্যান্য রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত পুনর্গঠনের কাজও একযোগে চলছে। পর্যটন নির্ভর উত্তরবঙ্গের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার লক্ষ্যে প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ।

Advertisement