বুধবার তক্তাঘাট এবং দইঘাটে ছটপুজোর প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, যাঁরা ছটপুজোর আয়োজন করছেন তাদের অভিনন্দন। কোভিড বিধি মেনে সবাই ধীরেসুস্থে ছট পুজোর ব্রত পালন করুন দু’দিন ধরে।
মমতা বলেন, আমি নিজেও ছটের ব্রত পালন করছি। উপবাসও করেছি। অবাঙালি ‘বন্ধু’দের কাছে ঠেকুয়া খাওয়ার আর্জি জানালেন মমতা। বললেন, ছট পুজোয় এলে ভালো লাগে। তাই প্রতি বছরই আসি। যখন থেকে যাদবপুরের সাংসদ ছিলাম তখন থেকেই আসি।
Advertisement
আগে অবশ্য ছট পুজোর ঘাটগুলি অন্ধকার ছিল। এখন সেইসব ঘাট বাঁধানো হয়েছে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মমতা এদিন বলেন, দুর্গা পুজো, ঈদের মতো ছটও একটা বড় উৎসব। বাংলা ছট পুজোকেও কম গুরুত্ব দেয় না। তাই বিহারের মতো এবারও রাজ্যে ছট পুজো উপলক্ষে দু’দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মহিলারা অবশ্য তিন দিনই ব্রত পালন করেন। দু’দিন নাইট কারফিউও তুলে দেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরেও মানুষের সুবিঝের জন্য অনেক কিছু করা হয়েছে। এদিন কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের ভালো করার নামে জিনিসের দাম বাড়ানো নয়, নোটবন্দি নয়।
আমাদের একটাই লক্ষ্য মানুষকে খুশি করা। সেই কারণেই বিনা পয়সায় মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য টাকা দিই। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ছটপুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেবী মা আপনাদের ইচ্ছেপুরণ করুন। তাড়াহুড়ো না করে উৎসব পালন করুন।
এদিন পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ঘাটে মাইকিং করুন একসঙ্গে বেশি জমায়েত যাতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
উল্লেখ্য, ছট পুজো উপলক্ষে রবীন্দ্র সরোবরকে একরকম পুলিশ দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। গতবছর সরোবরে ঢোকার তালা ভেঙে কিছু মানুষ ঢুকে পড়েছিলেন। এবার সেই পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেজন্য বিপুল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Advertisement



