• facebook
  • twitter
Friday, 21 March, 2025

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, চাকরি গেল রবীন্দ্রভারতীর অপসারিত রেজিস্ট্রারের

পদ হারিয়েছিলেন আগেই। এবার চাকরিও চলে গেল রবীন্দ্রভারতীর অপসারিত রেজিস্ট্রারের সুবীর মৈত্রর। আর্থিক অনিয়ম-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

পদ হারিয়েছিলেন আগেই। এবার চাকরিও চলে গেল রবীন্দ্রভারতীর অপসারিত রেজিস্ট্রারের সুবীর মৈত্রর। আর্থিক অনিয়ম-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বরখাস্ত হওয়ার কারণে তিনি অবসরকালীন কোনও সুযোগসুবিধা পাবেন না। এছাড়া তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থও দিতে হতে পারে। আপাতত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই। সুবীরের পরিবর্ত আশিস সামন্তই ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।

আশিস সামন্তকে নিয়েও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন, ছাত্র এবং শিক্ষাকর্মীদের ‘আন্দোলন’-এর জেরে সম্প্রতি পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন আশিসবাবু। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে ইমেল করে আশিস জানিয়েছেন, ১৫ জানুয়ারি তাঁকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণে তিনি পদত্যাগ করতে চাইছেন।

পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে আশিস বলেছিলেন, ওয়েবকুপার (তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন) ডেপুটেশনের পরিপ্রেক্ষিতেই আমি ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। আমাকে উপাচার্য স্যার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু ওঁরা আমার নিয়োগের ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি এই সব জটিলতার মধ্যে থাকতে চাইছি না।

এদিকে রবীন্দ্রভারতীর অপসারিত রেজিস্ট্রারের সুবীর মৈত্র বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ। তদন্তকারী আধিকারিক গত ৫ নভেম্বর রিপোর্ট জমা দেন। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর ৭ দিনের মধ্যে সুবীরের জবাব চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে তদন্তের রিপোর্ট, সাক্ষীদের বয়ান আর সুবীরের জবাবি চিঠি খতিয়ে দেখে তাঁকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় এক বিবৃতিতে জানান, সুবীর মৈত্রকে জরুরি ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হচ্ছে। তিনি অবসরকালীন কোনও সুযোগসুবিধা পাবেন না। পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে যে সুবীরের কাজের জন্য যে ক্ষতি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়েছে, সে বাবদ ক্ষতিপূরণও তাঁকে দিতে হতে পারে।