• facebook
  • twitter
Thursday, 13 February, 2025

স্মার্ট ক্লাসরুম সম্পর্কে রিপোর্ট চাইল শিক্ষা দপ্তর

স্মার্ট ক্লাসরুমে পঠনপাঠন কেমন হচ্ছে তা জানতে স্কুলগুলির কাছে তথ্য চেয়েছিল রাজ্য শিক্ষাদপ্তর। প্রায় ৩ হাজার স্কুলকে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল।

প্রতীকী চিত্র

স্মার্ট ক্লাসরুমে পঠনপাঠন কেমন হচ্ছে তা জানতে স্কুলগুলির কাছে তথ্য চেয়েছিল রাজ্য শিক্ষাদপ্তর। প্রায় ৩ হাজার স্কুলকে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। স্মার্ট ক্লাসরুমে আদৌ ক্লাস হচ্ছে কি না, এই ক্লাসে পড়াশোনা করে পড়ুয়ারা উপকৃত হচ্ছেন কি না তা রিপোর্ট আকারে শিক্ষা দপ্তরে পেশ করার জন্য ডিআইদের কাছে নির্দেশ গিয়েছিল।

কয়েকটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা কিছুটা পিছিয়ে। অন্যান্য কাজে কিন্তু রাজ্যের ছেলেমেয়েদের জুড়ি মেলা ভার। তবে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে কোনও জরুরি কাজ করার বিষয়ে তাঁরা এখনও অনেকটা ব্যাকফুটে। তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এটি শিক্ষাকে প্রযুক্তি নির্ভর করে তোলার ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ বলা যায়। পাশাপাশি স্মার্টক্লাসগুলি হাল ফিরিয়ে আনতে ও আরও বেশি করে স্মার্ট ক্লাস তৈরি করে রাজ্যের পড়ুয়াদের প্রযুক্তির সঙ্গে ওয়াকিবহাল করাতে চাইছে রাজ্য সরকার।

পশ্চিমবঙ্গে দুই হাজার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, ৬৫০টি প্রাথমিক স্কুল ও ৪১ টি সরকারি স্কুলে স্মার্ট ক্লাস চালু করা হয়েছে। এই স্কুলগুলিতে স্মার্ট বোর্ড, ডিজিটাল লার্নিং কনটেন্ট, প্রোজেক্টর, ল্যাপটপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলগুলিকে বিশেষ সফটওয়্যার ও বিশেষ ডিভাইস দেওয়া হয়েছিল। শিক্ষা দপ্তরের কাছে অভিযোগ এসেছে, স্কুলে এই পরিকাঠামো সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। বিভিন্ন স্কুলে তো প্রোজেক্টার ও বোর্ডগুলি অকেজো হয়েই পড়ে রয়েছে। রাজ্যের তরফে স্কুলগুলিকে যে ইকুইপমেন্ট প্রদান করা হয়েছে সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে তা–ও রিপোর্টে উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ডেডলাইন ছিল শুক্রবার। তার মধ্যেই স্কুলগুলিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দপ্তরে স্কুলগুলির রিপোর্ট জমা পড়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওয়েবেলের সহযোগিতায় স্কুলগুলিতে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি করা হয়। এই সংস্থা কয়েক হাজার স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। একটি সমীক্ষায় অনুযায়ী, স্মার্ট ক্লাসরুম চালু হওয়ার পরে ১২টি শহরে পড়ুয়াদের নথিভুক্তের হার ২২ শতাংশ বেড়েছে। পড়ুয়াদের বেশি আকর্ষণ করছে স্মার্ট ক্লাসরুম। এর ফলে তাঁদের পড়াশোনার প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। স্মার্ট ক্লাসরুমই যে ভবিষ্যৎ সে বিষয়ে কারওরই অজানা নয়। এই কারণে এই ক্লাসরুমগুলির হাল ফেরাতে ও আরও এরকম ক্লাসরুম তৈরির উদ্যোগ নিতে পদক্ষেপ শুরু করতে চাইছে রাজ্য।