আদালত চত্তরেও ‘দাদাগিরি’ রাকেশের

মাদক মামলায় ধৃত রাকেশ সিংকে নিয়ে আলিপুর আদালত চত্বরে ধুন্ধুমার। বুধবার আদালত চত্বরে রীতিমতাে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পডে রাকেশ।

Written by SNS Kolkata | February 25, 2021 5:47 pm

রাকেশ সিং (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

মাদক মামলায় ধৃত রাকেশ সিংকে নিয়ে আলিপুর আদালত চত্বরে ধুন্ধুমার। বুধবার আদালত চত্বরে রীতিমতাে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পডে রাকেশ। ধৃত এই বিজেপি নেতা পুলিশের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’ করার অভিযােগ তুলেছেন। 

যদিও এদিন তার জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত। ১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে এদিন রাকেশের দুই ছেলে সাহেব ও শুভমের অন্তবর্তী কালিন জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। 

তবে তাদের তদন্তকারী আধিকারীকের কাছে প্রতিদিন হাজিরা দিতে হবে। মঙ্গলবার বর্ধমানের গলসি থেকে কোকেন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় রাকেশ সিংকে। তারপর তাকে রাতেই লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় আদালত চত্বরেও ধৃত নেতার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় পুলিশের। পড়ে যান রাকেশ সিং। এরপর তাঁকে প্রায় টেনে হিচড়ে পুলিশ ভিতরে নিয়ে যায়। এই সময় বিজেপি নেতা অভিযােগ করে পুলিশ দাদাগিরি করছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই

গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ তার উপরে অত্যাচার করছে বলেও অভিযােগ কনে তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে রাকেশের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। অভিযােগ করা হয়, মঙ্গলবার পুলিশ রাকেশকে বেধড়ক মারধাের করেছে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয়, যাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারেন সেই কারণেই রাকেশ সিং-এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। গােটা ঘটনাতে তার কোনও যােগ নেই। 

এদিকে সরকারি আইনজীবী রাকেশের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান। অন্যদিকে লালবাজারের তদন্তকারী অফিসাররা এই মাদক মামলাতে দুজন লিঙ্ক-ম্যানের খোঁজ শুরু করেছে। কারণ পুলিশের দাবি পামেলা পুলিশি জেরাতে স্বীকার করেছে যে, রাকেশ কোকেন সরবরাহ করতেন। কিন্তু নিজে সরাসরি না করে দুজন লিঙ্ক-ম্যানের মাধ্যমে এই কোকেন সরবরাহ করা হত। এখন সেই লিঙ্ক-ম্যানের সন্ধানেই লালবাজার। 

পুলিশি সুত্রে জানা গিয়েছে পামেলা এবং রাকেশ সিংকে মুখােমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। এমনকি পুলিশ এই মামলাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদালতে গােপন জবানবন্দি দেওয়ানাের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করছে। 

উল্লেখ্য মঙ্গলবার দুপুরে কোকেন মামলাতে অভিযুক্ত রাকেশ সিং-এর অরফানগঞ্জ এলাকার বাড়িতে কলকাতা পুলিশ বিশাল বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে পুলিশ রাকেশ সিং-এর বাড়িতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা পায়। রাকেশ পুত্রদের সঙ্গে বচসাতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। অবশেষে সন্ধেবেলা পুলিশ রাকেশের বাড়িতে ঢুকতে পায়। তারপর রাকেশের বাড়িতে অনেকক্ষণ ধরে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। 

এরপর রাকেশের দুই ছেলে সাহেব ও শুভমকে পুলিশি কাজে বাধাদানের অভিযােগে প্রথমে আটক পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতার করা হয় রাকেশ সিংকে। পুলিশের দাবি রাকেশ সড়ক পথে ভুবনেশ্বর পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। রাকেশের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে তার ছায়াসঙ্গীকেও।