• facebook
  • twitter
Sunday, 14 December, 2025

করম পুজোয় শুভেচ্ছা জানিয়ে আদিবাসী সমাজকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

করম পুজো মূলত কৃষিকাজ কেন্দ্রিক উৎসব। এই দিনে ভগবান করমের পূজা করে সুখ, সমৃদ্ধি ও ব্যাপক শস্য ফলনের প্রার্থনা করা হয়।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

করম পুজোর শুভক্ষণে আদিবাসী সমাজকে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে এক্স হ্যান্ডেলের এক বার্তায় তিনি জানান, আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতেই রাজ্যে এই পুজোয় পূর্ণ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী করম পুজো উপলক্ষে গোটা আদিবাসী সমাজকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘আমাদের রাজ্যে আজকের এই পবিত্র দিনে প্রথমে আমরা সেকশনাল হলিডে ঘোষণা করেছিলাম। পরে আমরা আরও এগিয়ে দিনটিকে স্টেট হলিডে ঘোষণা করেছি। ১৫ই নভেম্বর ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মদিবসও আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করি ও ওই দিনটিতেও আমরা সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছি। পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু’র জন্মদিনে এবং হুল দিবসেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আদিবাসী মানুষদের প্রতি আমাদের অকুন্ঠ শ্রদ্ধার নিদর্শন হল এইসব সিদ্ধান্ত।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, করম পুজো মূলত কৃষিকাজ কেন্দ্রিক উৎসব। এই দিনে ভগবান করমের পূজা করে সুখ, সমৃদ্ধি ও ব্যাপক শস্য ফলনের প্রার্থনা করা হয়। এদিন পাহাড়ি ও জঙ্গলমহলের বিভিন্ন গ্রামে ভোর থেকেই শুরু হয়েছে নানা আচার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। করম পুজোকে ঘিরে প্রতিবছরই উচ্ছ্বাস দেখা যায় ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিসগড়সহ বিভিন্ন রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গেও এই উৎসবকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমে আঞ্চলিক ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে রাজ্যজুড়ে পূর্ণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

Advertisement

উল্লেখযোগ্যভাবে, বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো এবং কুরমি জনজাতির সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই করম পুজোয় সরকারি ছুটির দাবি জানিয়ে আসছিল। তাঁদের দাবি মেনে রাজ্য সরকার প্রথমে অঞ্চল ভিত্তিক ছুটি ঘোষণা করে, পরে তা পূর্ণ রাজ্য ছুটিতে রূপান্তরিত করে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত আদিবাসী সমাজের সঙ্গে প্রশাসনের সম্পর্ক আরও মজবুত করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা আদিবাসী মানুষদের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি ফের একবার তুলে ধরল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement