ক্ষতিপূরণের দাবিতে সরব জমিদাতারা, পানাগড়ে শিল্পতালুকে আজ পলিফিল্ম কারখানার শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী

দু’দিনের সফরে জেলা সফরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ পানাগড় শিল্পতালুকে একটি বেসরকারি কারখানার শিলান্যাস করলে মমতা।

Written by SNS Panagrah | September 1, 2021 1:34 pm

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo:SNS)

দু’দিনের সফরে জেলা সফরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ পানাগড় শিল্পতালুকে একটি বেসরকারি কারখানার শিলান্যাস করবেন মমতা। এছাড়া তিনি কয়েকটি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। এই উদ্দেশ্যে তিনি মঙ্গলবারই পৌছে গেলেন দুর্গাপুরে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই জেলা সফর সাজো সাজো রব পানাগড়ে তবে শিল্পকে স্বাগত জানালেও শিল্পতালুকে দেওয়া জমি বাবদ সব্ব জমিদাতাদের একাংশ। ক্ষতিপূরণের দাবিতে পানাগড়ের একাধিক জায়গায় পােস্টার পড়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে প্রশাসনিক কর্তাদের। নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি গােটা শিল্পতালুক সাজিয়ে তােলার কাজ চলছে জোরকদমে। প্রায় ৪০০ কোটি বিনিয়ােগে তৈরি হচ্ছে ওই পলিফিল্ম কারখানাটি। কারখানাটির উৎপাদন শুরু হতে প্রায় তিন বছর সময় লাগবে। এলাকায় শিল্প হলে এলাকার বেকারদের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনি ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন। পানাগড়ে কারখানাটি উদ্বোধন করে রাজ্যে একটি শিল্পায়নের বার্তা দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে শিল্পতালুকে জমি দেওয়া বেশ কিছু খেতমজুর ও বর্গাদার ক্ষতিপূরণের দাবিতে সােচ্চার হয়েছেন। সরকারি চুক্তি মেনে জমির দাবি তুলেছেন তারা। ক্ষতিপূরণ না দিয়ে শিল্প গড়া অনুচিত বলে মনে করছে স্থানীয় খেতমজুর ও বর্গাদারদের সংগঠন।

ওই সংগঠনের সদস্যদের দাবি, পানাগড়ে কারখানা গড়তে জমি দেওয়া প্রত্যেক জমিদাতাকে অন্যত্র জমি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যা এখনও পূরণ করা হয়নি। এছাড়া অনেকের কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার শর্তও রাখা হয়েছিল। সেইসঙ্গে এলাকার জলনিকাশি ব্যবস্থাও সুদৃঢ় করার দাবি জানিয়েছে ওই সংগঠন।

বাম আমলে সিঙ্গুরে টাটার কারখানা তৈরি হওয়ার আগে জমি দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনের জেরে সেই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ওই সিঙ্গুরের কৃষিজমি অনিচ্ছুক কৃষকরা ফেরত পায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।

কিন্তু সেই জমিতে এখন কৃষি কিংবা শিল্প কোনটাই সাফল্যের মুখ দেখেনি। কিছু কৃষিভিত্তিক শিল্প তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা পুরােপুর্কি কার্যকর হয়নি। সেক্ষেত্রে যে ইচ্ছুক কৃষকেরা বাম সরকারের আমলে ক্ষতিপুরণ পেয়েছিলেন, তাঁরাই বেশি লাভবান হয়েছিলেন বলে অনেকেই মনে করছেন। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পানাগড়ে জমিদাতারা টাকা পাওয়ার দাবিটিকেই সুনিশ্চিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে।