• facebook
  • twitter
Friday, 9 May, 2025

পুরুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা

ঘটনার মূল পান্ডা হিসেবে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক পরাণ মাহাতোকে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছে।

প্রতীকী চিত্র

পুরুলিয়ায় ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা। জানা গিয়েছে, আয়কর আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পুরুলিয়ার কোটশিলার এক বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার কিনারা করতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য আসে পুলিশের হাতে। তার উপর ভিত্তি করে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতওয়ালি থানার রাজাবাজার এলাকা থেকে বিজেপি নেতা পরাণ মাহাতোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই গোটা ঘটনার মূল পান্ডা সিআরপিএফ জওয়ান পারেশ দাস। তিনি রাঁচির বুন্ডু শহরের বাসিন্দা। ছুটিতে এসে তিনি এই ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত হন এবং তাঁকে সঙ্গত দেন বিজেপি নেতা পরাণ মাহাতো। অভিযোগ, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা কোটশিলার বামনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহিম কুমারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন এলাকা থেকে কোটিপতি কোনো ব্যক্তির বাড়ির সন্ধান করতে। তাঁর কথা মতো বিড়ি ব্যবসায়ী কিরীটি কুমারের বাড়ির খোঁজ দেয় মহিম। এরপর থেকে তাঁরা জোগাড় করতে থাকেন কিরীটি কুমারের ব্যবসায়িক খুঁটিনাটির তথ্য। এই কাজে সাহায্য করেছিলেন তহদ্রি গ্রামের বাসিন্দা সমীর রায়। এরপর ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাঠানো হয়েছিল। বিজেপি নেতা পরাণ মাহাতো এবং পারেশ দাস এর যৌথ পরিকল্পনায় তৈরি করা হয়েছিল ডাকাতির নীল নকশা। ডাকাতি করে কিভাবে পালিয়ে যাবেন সেই ছকও কষা হয়েছিল।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যেই মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাঁচি জেলার বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান পরেশ দাস, কপিল দেব মাহাতো, সুরজ কুমার মাহাতো, খুশবু মণ্ডল ও কোটশিলা থানা এলাকার সমীর রায়, মহিম কুমার ও মাসুম খান। তাঁদের ক্রমাগত জেরা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ঘটনার মূল পান্ডা হিসেবে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক পরাণ মাহাতোকে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছে।